

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী আলাউদ্দিন বলেছেন, আমি জীবনের ১৬টি বছর রাজনীতিতে কাটিয়েছি জনগণের সেবা করার জন্য। এই দীর্ঘ সময়ে জনগণের ভালোবাসাই আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে আমার কাজ ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার স্বীকৃতি হিসেবে। গত পাঁচ বছরে আমি দুই উপজেলার প্রতিটি ওয়ার্ডে উন্নয়নের ছোঁয়া পৌঁছে দিয়েছি।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ সংলগ্ন মাঠে উপজেলা বিএনপির আয়োজনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, গ্রামীণ রাস্তাঘাট পিচঢালাই করেছি, প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছি, কাকশিয়ালী ব্রিজসহ বহু অবকাঠামো নির্মাণ করেছি। কলেজ-মাদ্রাসা, ইউনিয়ন কমপ্লেক্স, বাজার উন্নয়ন— কোথাও আমি পিছিয়ে ছিলাম না। এজন্যই এলাকার মানুষ আমাকে উন্নয়নের রূপকার বলে আখ্যা দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ওয়ান-ইলেভেনের সময় দেশে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান চলেছে। তখন বহু সংসদ সদস্য ও রাজনীতিক দুর্নীতির অভিযোগে জেলে গিয়েছিলেন। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে কখনো কোনো দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি, কারণ আমি রাজনীতি করেছি সততা ও নীতির ভিত্তিতে, মানুষের কল্যাণে। আমি বিশ্বাস করি, রাজনীতি মানে মানুষের পাশে থাকা, মানুষের হাসি-কান্নায় অংশ নেওয়া।
জাতীয় সংহতি দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে তিনি বলেন, আজকের এই দিনে আমাদের শপথ নিতে হবে বিভাজন নয়, ঐক্য চাই। আমরা সবাই মিলে গণতন্ত্র রক্ষা করব, উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নেব। সংহতির শক্তিতে অন্যায়, দুর্নীতি ও স্বার্থপর রাজনীতিকে পরাজিত করতে হবে। জনগণের কল্যাণে, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে। উন্নয়ন, ন্যায় ও গণতন্ত্রের বাংলাদেশ গড়াই আমাদের মূল লক্ষ্য।
আলোচনা সভায় উপজেলা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, শ্রমিক দলসহ থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন, পতাকা ও রঙিন বেলুন নিয়ে সুসজ্জিত মিছিলসহ সভাস্থলে সমবেত হন।
সভাপতিত্ব করেন কালিগঞ্জ বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শেখ এবাদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব শেখ শফিকুল ইসলাম বাবু এবং সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আখতারুজ্জামান বাপ্পি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মো. রোকনুজ্জামান।
মন্তব্য করুন