

খুলনার পূর্ব রূপসা ঘাটে যাত্রীবাহী ট্রলার পন্টুনে ধাক্কা লেগে দুজন নিখোঁজ হয়েছেন। ঘটনার পর থেকে তাদের উদ্ধারে কাজ করছে নৌবাহিনী, নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস। সোমবার (১০ নভেম্বর) দুপুর ২টা পর্যন্ত অনুসন্ধান চালিয়ে তাদের সন্ধান মেলেনি।
রোববার (৯ নভেম্বর) রাত সোয়া ১১টার দিকে পূর্ব রূপসা ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, রূপসার তালিমপুর এলাকার মৃত মাহাবুবুর রহমানের ছেলে খুলনার একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মকর্তা শেখ মহিদুল হক লিটু অফিস শেষে রূপসা এলাকায় নিজ বাসায় ফিরছিলেন। তিনি পশ্চিম রূপসা থেকে ট্রলারে উঠে নদী পারাপারের সময় পূর্ব রূপসায় ঘাটে ভেড়ার সময় পল্টুনের সঙ্গে ট্রলারটির জোরে ধাক্কা লাগে। এ সময় শেখ মহিদুল হক লিটু নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করে বলেন, ধাক্কা লেগে আরও এক নারী নিখোঁজ হয়েছেন। যদিও এখন পর্যন্ত ওই নারীর পরিচয় জানা যায়নি। তাদের অভিযোগ, প্রতিটি নৌকায় মাঝিরা অতিরিক্ত অর্থের লোভে বাড়তি যাত্রী নিয়ে থাকে। এ নিয়ে অভিযোগ জানালেও তারা কর্ণপাত করেন না। ৪০ থেকে ৫০ জন যাত্রী ভর্তি করে নেয়। যার কারণে এমন দুর্ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে দেখা যায়, আজ সকাল থেকে নিখোঁজ যাত্রীদের সন্ধানে একসঙ্গে অভিযান চালাচ্ছে নৌবাহিনী, নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস। কিন্তু নদীতে অতিরিক্ত স্রোত ও জোয়ার-ভাটার কারণে উদ্ধার অভিযানে বেগ পোহাতে হচ্ছে।
রূপসা নৌ-পুলিশের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আবুল খায়ের বলেন, নিখোঁজদের সন্ধানে আমরা রূপসা ব্রিজ পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়েছি। কিন্তু নদীতে সন্ধান পাওয়া যায়নি। উদ্ধার অভিযানে নৌ-পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় ডুবুরি, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী সহায়তা করছে। নিখোঁজ দুই যাত্রীর মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গেছে, অন্যজনের বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।
মন্তব্য করুন