

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের কাটাবের সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার বস্তাবন্দি লাশের পরিচয় ও হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করেছে পলাশ থানা পুলিশ।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) পলাশ থানা পুলিশ ও নরসিংদী পিবিআইর যৌথ অভিযানে নিহতের মোবাইলের কল লিস্ট থেকে মূলত হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা হয়।
পলাশ থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৯ ডিসেম্বর নিহত নয়ন চন্দ্র মজুমদারকে তার পরকীয়া প্রেমিকা ফারজানা আক্তার মিথিলা (২৪) ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে মিথিলা ও তার স্বামী ফয়সাল পরিকল্পিতভাবে নয়নকে রুটি বানানোর বেলুন দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে লাশ বস্তাবন্দি করে খাটের নিচে রেখে দেয়। লাশ থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকলে, বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাতের কোনো এক সময়ে ব্যাটারিচালিত অটো রিকশাযোগে লাশ বহন করে নিয়ে উল্লিখিত জিনারদী ইউনিয়নের কাটাবের সড়কের পাশে ফেলে রেখে চলে যায়।
পরদিন বস্তা দেখে সন্দেহ হলে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পলাশ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নরসিংদী পিবিআই পুলিশ লাশের ফিঙ্গার প্রিন্ট থেকে পরিচয় শনাক্ত করে নিহতের পরিবারকে জানালে, নিহতের মা ঝর্না রানী মজুমদার বাদী হয়ে পলাশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার সূত্র ধরে পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং নিহতের মোবাইলের কল লিস্ট ধরে তার পরকীয়া প্রেমিকা ফারজানা আক্তার মিথিলাকে গ্রেপ্তার করে। এ খবর জেনে মিথিলার স্বামী আত্মগোপনে চলে যায়। তাকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মিথিলা হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেয় এবং রোববার (১৪ ডিসেম্বর) নরসিংদী বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।
বিয়ের আগে থেকেই নয়নের সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল মিথিলার। পরবর্তীতে মিথিলা ও তার স্বামী ফয়সাল পরিকল্পিতভাবে নয়নকে রুটি বানানোর বেলুন দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে।
নিহত নয়ন চন্দ্র মজুমদার (২৮) চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ থানার উত্তর মগধরা গ্রামের দিলাল চন্দ্র মজুমদারের ছেলে। তিনি পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল বাজারের একটি ভাড়া বাসায় থেকে পার্শ্ববর্তী ঘাগড়া গ্রামে নিজের সেলুনে নরসুন্দরের কাজ করতেন।
গ্রেপ্তার মিথিলা ঘোড়াশাল পৌর এলাকার দক্ষিণ মিয়াপাড়া গ্রামের মৃত সোহেল মিয়ার মেয়ে এবং ফয়সাল মিয়ার স্ত্রী।
মন্তব্য করুন