

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে এক কলেজ শিক্ষার্থীকে হত্যা এবং আরেক শিক্ষার্থীকে আহত করে হাসপাতালে রেখে পালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার সুবিদখালী সরকারি কলেজের পেছনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন সিয়াম (১৮) ও আহত হয়েছেন আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। সিয়াম ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের শহীদ রমিজ উদ্দীন কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
নিহতের খালু মির্জাগঞ্জ ইয়ারিয়া আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক মো. বাদল হাওলাদার জানান, নিহত সিয়াম ও আহত মাহমুদ সম্পর্কে খালাতো ভাই। সিয়াম তিন দিন আগে পটুয়াখালীর মরিচবুনিয়া গ্রামে নানা বাড়িতে বেড়াতে আসে। মির্জাগঞ্জে কখন এবং কী কারণে এসেছে তা আমরা কেউ জানি না। নিকটাত্মীয় থেকে সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে এসে তার লাশ দেখতে পাই এবং আমার ছেলে ঝালকাঠির এন এস কামিল মাদ্রাসার একাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল্লাহ আল মাহমুদকে গুরুতর আহত অবস্থায় জরুরি বিভাগে পেয়েছি। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তাও জানি না।
আহত আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, সুবিদখালী সরকারি কলেজের পেছনে বসে দুই ভাই কথা বলছিলাম। এ সময় ৩/৪ জন যুবক এসে আমাদের কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করে, টাকা না দিলে তারা মাদক দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেবে বলে হুমকি দিয়ে মারধর শুরু করে। এরপর কী হয়েছে, তা মনে করতে পারছি না।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মেডিকেল অফিসার মো. আবদুর রহমান শামীম জানান, আনুমানিক ৪টার দিকে ৩/৪ জন সিয়াম ও মাহমুদকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তারা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে চলে যায়। হাসপাতালে আনার ১৫-২০ মিনিট আগেই সিয়ামের মৃত্যু হয়েছে।
মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আ. সালাম জানান, মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কিশোর কুমার রায় হাসপাতাল ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কী কারণে এবং কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছে তা দুই পরিবারের স্বজনরা কেউ কিছুই বলতে পারছেন না।
মন্তব্য করুন