নড়াইল জেলা পুলিশের তৎপরতায় চাঞ্চল্যকর এসএম বরকত ওরফে সাহেব (৬০) হত্যা মামলার দুই আসামি শফিক মোল্যা শফি দাই (৩৫) ও আমিন মোল্যা ওরফে আমিন দাইকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শফিক মোল্যা ইমারত হোসেন মোল্যার ছেলে ও আমিন মোল্যা আয়ূব হোসেন মোল্যার ছেলে। তাদের দুজনের বাড়ি নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের পাংখারচর গ্রামে। নিহত এস এম বরকত আলী দক্ষিণ পাংখারচর গ্রামের মৃত আলফু শেখের ছেলে। তিনি পেশায় একজন দলিল লেখক ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নড়াইলের লোহাগড়া থানার এসআই আশিকুজ্জামান অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহার নামীয় ৮নং আসামি মো. শফিক মোল্যা ও ১১নং আসামি আমিন মোল্যাকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের দক্ষিণ পাংখারচর গ্রামের এস এম বরকত আলী ওরফে সাহেবের সঙ্গে একই গ্রামের কেরামত মোল্লা ওরফে কুনুর জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব সংঘাত চলে আসছিল। বিরোধপূর্ণ জমিতে ১৪৪ ধারা বিদ্যমান থাকায় আদালত লোহাগড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
গত ২৯আগস্ট বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিরোধপূর্ণ জমির সমাধানের জন্য ভূমি অফিসের নায়েব পংকজ কুমারের উপস্থিতিতে উভয়পক্ষ দক্ষিণ পাংখারচর গ্রাম চৌরাস্তা বাজারসংলগ্ন দাই পাড়া সমাজসেবা ক্লাবে সালিশে বসেন। জমির কাগজপত্র দেখার একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে কেরামতের ছেলে নেপাল ও রকির নেতৃত্বে রুনু, হামীম, আমীনসহ ১০-১২ জনের একদল দুর্বৃত্ত হাতুড়ি ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে এস এম বরকত আলী ওরফে সাহেবকে হত্যা করে।
এ হত্যাকাণ্ডে নিহতের স্ত্রী ফাতেমা খানম বাদী হয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর ১২ জনকে আসামি করে লোহাগড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১২ আসামির মধ্যে ৪ জন গ্রেপ্তার ও দুজন আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। বর্তমানে তারা নড়াইল জেলা কারাগারে আটক আছে।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ওসি মো. নাসির উদ্দীন জানান, দলিল লেখক বরকত হত্যা মামলায় ১২ জনের মধ্যে ৬ জন জেলহাজতে আটক রয়েছে। অন্যান্য পলাতক আসামিদের উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন