ভোলা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০১:৫৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ভোলায় নিউমোনিয়ার প্রকোপ, হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তাররা

ভোলায় নিউমোনিয়া রোগীর চাপ বাড়ায় দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট। ছবি : কালবেলা
ভোলায় নিউমোনিয়া রোগীর চাপ বাড়ায় দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট। ছবি : কালবেলা

ভোলায় গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ আর দিনে গরম রাতে শীত অনুভূত হওয়ায় শিশুদের নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। এতে রোগীদের চাপ বেড়েছে ভোলার ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে। এদিকে এই চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন নার্স ও ডাক্তাররা।

জানা গেছে, বর্তমানে এ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা দুই শতাধিক, যাদের মধ্যে নিউমোনিয়া আক্রান্ত দেড় শতাধিক। হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট, চিকিৎসা নিতে মেঝেতেও ঠাঁই মিলছে না রোগীদের। এতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন রোগীর স্বজনরা।

ভোলা ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, বেডগুলোতে গড়ে দুই থেকে তিনজন করে রোগী অন্যদিকে মেঝেতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। শিশু ওয়ার্ড চত্বর, সিঁড়ি ও লিফটসহ পুরো চত্বরজুড়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। যেখানে ফাঁকা পাচ্ছেন সেখানেই বিছানা পেতে সেবা নিচ্ছেন।

রোগীদের অভিযোগ, বেড না থাকায় এভাবে গাদাগাদি করে মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে তাদের। এর মধ্যে আবার প্রয়োজনীয়সংখ্যক নার্স নেই। ৮৯ জন নার্সের মধ্যে অর্ধশতাধিক নার্সের পদ শূন্য থাকায় প্রয়োজনীয় সেবা পাচ্ছে না রোগীরা।

চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজন আমেনা, রেহানা ও নাহিদসহ একাধিক অভিভাবক জানান, হঠাৎ করেই এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় শিশুদের নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন তারা। রোগীকে চিকিৎসা করাতে এসেও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। বেডে তো জায়গা হচ্ছেই না, মেঝেতেও গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। তার ওপর হাসপাতালের অপরিচ্ছন্নতা ও দুর্গন্ধে পরিবেশ নষ্ট করে তুলেছে।

রোগীর স্বজনরা বলেন, হাসপাতালটি সেবা কেন্দ্র নয় যেন হাজতখানা।

জানা গেছে, শিশু ওয়ার্ডের একটি বেডে গড়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিন থেকে চারজন রোগী। গত এক সপ্তাহে পুরো জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪ শতাধিক। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর।

ভোলার ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. তায়েবুর রহমার জানান, টানা বৃষ্টি, দিনের গরম এবং রাতে ঠান্ডা অনুভূত হওয়ায় আবহাওয়ার পরিবর্তন কারণে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। তবে রোগীর চাপ বেশি থাকলেও আমরা প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।

ভোলার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সূত্র জানিয়েছে, গত এক মাসে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দেড় হাজারের অধিক। এক সপ্তাহে আক্রান্ত ৪০০ জন। মৃত্যু হয়েছে একজনের।

তারা জানান, ভোলার জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ২২৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিল, যাদের মধ্যে নিউমোনিয়া আক্রান্ত ১৭৫ জন। এ হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সের অর্ধশতাধিক পদ শূন্য থাকায় রোগী সামাল দেওয়া কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে সংশ্লিষ্টদের। তবে, আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এ অবস্থার উন্নতি হবে।

চিকিৎসকরা বলছেন, সংক্রমণ রোধে শিশুদের প্রতি অভিভাবকদের আরও বেশী যত্নবান হওয়া প্রয়োজন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সামিতকে বেঞ্চে রেখেই ক্যাবরেরার একাদশ

যে ৮ ধরনের মানুষের জন্য কফি খাওয়া বিপদজনক

নির্বাচন নিয়ে কনফিউশনে দুই তথাকথিত সিনিয়র সাংবাদিক : প্রেস সচিব

বজ্রপাত প্রতিরোধে ২০০ তালের চারা রোপণ করল পুলিশ 

জামায়াত আমিরের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ

বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব থেকে ছিটকে গেলেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা

আরব আমিরাতে ২৫ বন্দির মুক্তির বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ

হত্যার পর মা-বাবাকে ঘরের ভেতরে পুঁতে রাখেন ছেলে

শান্তি রক্ষা মিশন নিয়ে দুঃসংবাদ দিল জাতিসংঘ

শাবিপ্রবির ২৫ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, প্রতিবাদে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন

১০

পরকীয়া সন্দেহে গলা কেটে স্ত্রীকে হত্যা

১১

গরু ছাড়াই ঘানি টানা সেই প্রবীণ দম্পতির পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান

১২

দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের যান চলাচল

১৩

টাইফয়েডের টিকা সম্পূর্ণ নিরাপদ ও জীবনরক্ষাকারী : সিভিল সার্জন

১৪

স্বর্ণের পর রুপার দামেও নতুন ইতিহাস

১৫

সাহিত্যে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা

১৬

যে সমীকরণ মিললে তিন ম্যাচ হেরেও সেমিফাইনালে উঠতে পারে পাকিস্তান

১৭

৪৯তম বিসিএসের প্রবেশপত্র নিয়ে পিএসসির জরুরি নির্দেশনা

১৮

ফাঁদ দিয়ে বক শিকার, যুবকের কারাদণ্ড

১৯

ছেলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করলেন মা

২০
X