পটুয়াখালীর দুমকিতে সরকারি জনতা কলেজের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে কলেজ ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলকর্মীদের দুগ্রুপে দফায় দফায় হামলা ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন।
দুমকি থানার ওসি আবদুল হান্নান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ককে আটক করেছে। রোববার (৮ অক্টোবর) সকালে সরকারি জনতা কলেজে নবীনবরণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে দু’গ্রপের মধ্যে এ হামলা-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কলেজ ক্যাম্পাসে একাদশ শ্রেণির নবীন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা স্লোগান দিচ্ছিলেন। এ সময় ছাত্রদল নেতাকর্মীরাও পাল্টা স্লোগান শুরু করলে দু’গ্রপের হাতাহাতি এক সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়।
খবর পেয়ে উভয় সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা যোগ দিলে দু’গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও বিক্ষিপ্ত হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ছাত্রলীগের আবু নাইম, আবু সুফিয়ান ও ছাত্রদলের গোলাম সরোয়ার, কৃষকদলের জাহাঙ্গীর হোসেনসহ অন্তত ৮ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় হামলা সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেনকে আটক করা হয়েছে।
সহিংসতার এ ঘটনার জন্য ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল পরস্পরকে দোষারোপ করছে।
দুমকি থানার ওসি আবদুল হান্নান বলেন, ‘এ ঘটনায় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।’
মন্তব্য করুন