মুহাম্মদ আশরাফুল হক ভূঞা, কেন্দুয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ১০:৫৯ পিএম
আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ১১:০০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ইউপি চেয়ারম্যান যখন স্কুল শিক্ষক!

শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করছেন ইউপি চেয়ারম্যান জাকির আলম ভূঞা। ছবি : কালবেলা
শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করছেন ইউপি চেয়ারম্যান জাকির আলম ভূঞা। ছবি : কালবেলা

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার মোজাফফরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির আলম ভূঞা। হাতে সময় পেলেই তিনি ছুটে যান কাছের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। প্রতিষ্ঠান প্রধানের অনুমতি নিয়ে ঢুকে পড়েন কোনো ক্লাসে। শুরু করেন পাঠদান। একজন পেশাদার শিক্ষকের মতোই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিশে গিয়ে মজার সব গল্পের মাধ্যমে শিক্ষাদানে বেশ পটু তিনি। শুধু পড়ানোর ক্ষেত্রে নয়, শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতিতেও নিরলস কাজ করে যাওয়া এই ব্যক্তি হলেন কেন্দুয়া উপজেলার মোজাফফরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির আলম ভূঞা।

শিক্ষিত এই চেয়ারম্যান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোল বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। লেখাপড়া শেষ করে উপজেলার গোপালশ্রম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। শিক্ষকতা করার সুপ্ত বাসনা এখনো হৃদয়ে ধারণ করেন তিনি। আর এজন্য চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সুযোগ পেলেই চলে যান কোনো স্কুলে।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে দেখা যায় উপজেলার বড়তলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক, প্রাথমিক ও ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিচ্ছেন তিনি। এসময় স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুস ছাত্তার ও শ্রেণি শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী রাহুল মিয়া ও হেপী আক্তার বলেন, ‘চেয়ারম্যান স্যার আমাদের গণিত ক্লাস নিয়েছেন। ক্লাসে এসে স্যার আমাদের বিভিন্ন প্রশ্ন করেছেন এবং মজার গল্প বলেছেন। সেই সঙ্গে কীভাবে পড়া মনে রাখা যায়, সেই নিয়মও শিখিয়ে দিয়েছেন।’

এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস ছাত্তার বলেন, ‘চেয়ারম্যান সাহেব সময় পেলেই মাঝেমধ্যে হঠাৎ করে স্কুলে আসেন। বিভিন্ন ক্লাসে গিয়ে পাঠদান করান। স্কুল আঙিনা ঘুরে দেখেন। একই সঙ্গে শিক্ষাবিষয়ক পরামর্শ দেন।মনে হয়, যেন শিক্ষাব্যবস্থায় আমরাও নতুন কিছু শিখছি।শেষে তিনি ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মাঝে চকলেট বিতরণ করেন।

পাঠদানের বিষয়ে চেয়ারম্যান জাকির আলম ভূঞা বলেন, আমি নিজেও আগে শিক্ষক ছিলাম তাই বাচ্চাদের পড়াতে খুব ভালো লাগে। শিক্ষাজ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়ার মতো আনন্দ আর কিছুতে নেই। ছোট ছোট বাচ্চাদের পড়ানো অসাধারণ ব্যাপার। এতে দুটি লাভ হয়। বাচ্চাদের পড়াতে পারছি আবার ওই স্কুলে কোনো সমস্যা আছে কি না, সেটাও সরেজমিনে দেখতে পারছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতি গঠনে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী এবং দেশের একজন নাগরিক হিসেবে শিক্ষা খাতের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারা আমার জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। আমি সুযোগ পেলেই বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ক্লাস নিয়ে থাকি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ

অক্টোবরে লঘুচাপ-নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ের আভাস, বৃষ্টি নিয়ে নতুন তথ্য

খাগড়াছড়ির অবরোধ পুরোপুরি প্রত্যাহার

ব্যাটে-বলে ঝলমলে সাকিব, আটলান্টার দাপুটে জয়

ব্রিটিশ আমেরিকান রিসোর্স সেন্টারে চাকরির সুযোগ

বালু লুটে বিপর্যয়ের মুখে হাওরাঞ্চলের কৃষি ও পরিবেশ

চমক রেখে প্রীতি ম্যাচের জন্য আর্জেন্টিনার দল ঘোষণা

নিয়োগ দিচ্ছে আগোরা

বাগদান সারলেন বিজয়-রাশমিকা!

কেন মৌকে দেখে পালিয়ে যান পরীমণি?

১০

ঘুমের মধ্যে পায়ের রগে টান কেন পড়ে, কোনো রোগের লক্ষণ নয়তো

১১

শিগগির শুরু হবে ঢাকা-পাবনা রেল চলাচল

১২

জামাতে নামাজ আদায় করে পুরস্কার পেলেন ৮ জন

১৩

পবিত্র ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম আজ

১৪

দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ

১৫

সেনাবাহিনীকে গাজায় অভিযান থামাতে বলল ইসরায়েল

১৬

ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু

১৭

যশোরে চিকিৎসাধীন বিএনপি নেতার মৃত্যু

১৮

আমিরাতে লটারিতে ৬৬ কোটি টাকা জিতলেন প্রবাসী হারুন

১৯

আকাশপ্রেমীদের জন্য এ মাসে দারুণ খবর

২০
X