সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার আমুড়া ইউনিয়নের আমনিয়া বড় মসজিদের সামনে ছাত্রলীগ নেতার ছুরিকাঘাতে তাজেল আহমদ (২২) নামে এক যুবলীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও ১জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়নের আমনিয়া বড় মসজিদের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবলীগ নেতা উপজেলার পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়নের আমুড়া গ্রামের ময়েন আলীর ছেলে। সে পেশায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করত। আহত তরুণ তানভির আহমদ (১৯) একই গ্রামের সফিক উদ্দিনের ছেলে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত তানভির আহমদ মুঠোফোনে জানান, নিহত তাজেল আহমদের সাথে প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগ নেতা অপু আহমদের গত এক সপ্তাহ আগে কোন কারণে মেসেঞ্জারে গালাগালি হয়। এরপর অপু নিহত তাজেলকে দেখা করার কথা বলে।
তাজেল দেখা না করলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাজার থেকে বাড়িতে ফেরার পথে তাজেলের পিছু নেয় অপু, সাঈদসহ আরোও ৫-৬ জন। পিছন থেকে ছাত্রলীগের অপু যুবলীগের তাজেলকে ডাক দিলে তাজেল তার কাছে যায়। পরে ডাকার কারণ জানতে চাইলে অপুর কাছে যাওয়া মাত্র তাঁকে গলায় ছুরিকাঘাত করে কদম রসুল গ্রামের অপু। এসময় তানভীর এগিয়ে গেলে তাকে পৌর এলাকার দাড়িপাতন গ্রামের সাঈদ আহমদ ছুরিকাঘাত করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টার দিকে তাজেল আহমদ মারা যান। অপর আহত তানভীর আহমদ বর্তমানে ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
অভিযুক্তরা গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল এর গ্রুপের অনুসারী বলে জানা যায়৷
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, এই ঘটনার পিছনে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়েছে। আসামিদের দ্রুত আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।
নিহত তাজেল আহমেদের চাচি আইরুন বেগম কালবেলাকে বলেন, আমরা বিচার চাই, এই সন্ত্রাসীদের বিচার চাই৷ সোনার টুকরা ছেলেটার জীবন অকালে নষ্ট করে দিল এই সন্ত্রাসীরা৷
ঘটনার খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে পরিদর্শনে যান গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির শাফ এলিম চৌধুরী৷
মন্তব্য করুন