দলিল লেখকদের দলিলে পরিচিতি থাকার শর্ত জুড়ে দেওয়ায় আমতলীতে গত ১৪ দিন ধরে দলিল লেখক সমিতি দলিল লেখা কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার মো. মশিউর রহমান কাওসারের এমন শর্তে দলিল লেখকরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। এ শর্ত বাতিল করে দলিল লেখা কার্যক্রম দ্রুত শুরুর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
জানা গেছে, গত ৬ অক্টোবর আমতলী উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার মো. মশিউর রহমান কাওসার দলিল লেখকদের দলিলে পরিচিতি থাকার শর্ত জুড়ে দেন এবং দলিল লেখকরা দলিলে পরিচিতি না থাকলে তিনি দলিল সম্পাদন করবেন না বলে ঘোষণা দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয় আমতলী উপজেলার দলিল লেখকরা। পরে তারা গত ৮ অক্টোরব থেকে দলিল লেখা কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন। তাদের অভিযোগ, সাব-রেজিস্ট্রার অনৈতিকভাবে তাদের ওপর এমন শর্ত জুড়ে দিয়েছেন। এতে গত ১৪ দিনে সরকার লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। দলিল কার্যক্রম বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। দ্রুত এমন শর্ত বাতিল করে দলিল কার্যক্রম শুরুর দাবি জানিয়েছে দলিল লেখক ও ভুক্তভোগীরা।
বৃহস্পতিবার দলিল লেখকদের সেরেস্তা ঘুরে জানা গেছে, দলিল লেখকরা দলিল লেখা বন্ধ রেখে অলস সময় পার করছেন।
আমতলী সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত দুই সপ্তাহে কোনো দলিল কার্যক্রম সম্পাদন হইনি। আমতলী উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বাবুল বলেন, সাব-রেজিস্ট্রার দলিলে দলিল লেখকদের পরিচিতি থাকার শর্ত জুড়ে দিয়েছেন। এ শর্ত আমরা মানতে পারছি না। ফলে গত দুই সপ্তাহ ধরে দলিল লেখা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যতদিন পর্যন্ত এ শর্ত তুলে না নিবেন ততদিন পর্যন্ত দলিল লেখা কার্যক্রম বন্ধ রাখা হবে।
আমতলী উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার মো. মশিউর রহমান কাওসার বলেন, আইনে উল্লেখ আছে দলিলে পরিচিতিকে সাব-রেজিস্ট্রারের পরিচিত হতে হবে। এমন কথাই আমি দলিল লেখকদের বলেছি। কিন্তু এ কথায় কেন তারা দলিল লেখা বন্ধ করেছেন তা আমার জানা নেই।
বরগুনা জেলা রেজিস্ট্রার মো. সিরাজুল করিম বলেন, বিধি অনুসারে সাব-রেজিস্ট্রার দলিল লেখকদের দলিল লেখার কথা বলেছেন। কিন্তু তারা তা না মেনে দলিল লেখা কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন। এটা তাদের খেয়ালিপনা। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন