শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য মতে হালিমা খাতুন (৮৮) মারা গেছেন প্রায় ৬ বছর আগে। এত বছর আগে মারা গেলেও দিব্যি ছেলেদের সঙ্গে বসবাস করছেন তিনি। অদ্ভূত এ ঘটনাটি ঘটেছে জাজিরা উপজেলার বড় গোপালপুর ইউনিয়নের আইজদ্দিন গ্রামে। মূলত সবই তথ্যের গড়মিল আর যথাযথ কতৃপক্ষের দায়িত্বহীনতার এক বাস্তব চিত্র।
সম্প্রতি বয়স্ক ভাতার আবেদন করতে গেলে হালিমা খাতুন মৃত বলে জানতে পারেন তার স্বজনরা। এর আগে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিতে গেলেও তার আঙুলের ছাপ কাজ করেনি। কিন্তু তখন বিষয়টি আমলে নেয়নি কেউ।
আইজদ্দিন গ্রামের হালিমা খাতুনের বড় ছেলে মোস্তফা পেশায় ভ্যান চালক এবং ছোট ছেলে বাবুল সিকদার ঢাকায় একটি কারখানায় কাজ করনে। স্বামী কাইয়ুম সিকদার মারা গেছেন ৬ বছর আগে।
অভাবের সংসারে কিছুটা স্বস্তি পেতে হালিমা খাতুন বয়স্ক ভাতার আবেদন করলে জানতে পারেন মারা যাওয়ার কারণে বয়স্ক ভাতা পাবেন না তিনি। তবে জীবিত প্রমাণ করতে পারলে মিলবে বয়স্ক ভাতা।
জাজিরা উপজেলা নির্বাচন অফিসার মিজানুর রহমান তালুকদার কালবেলাকে জানান, ২০১৭ সালে নির্বাচন কমিশনের অধীনে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছিল। বাড়ি বাড়ি গিয়ে কর্তনকারী ব্যাক্তির তথ্য সংগ্রহের কাজটি বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকরা করেছিলেন। ভুলবশত কর্তনকৃত ব্যাক্তির ভোটার নাম্বারের জায়গায় হালিমা খাতুনের নাম দেওয়া হয়েছিল। বাকি সবকিছু ঠিক রয়েছে।
তবে চেয়ারম্যানের কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করে উপজেলা নির্বাচন অফিসার বরাবর আবেদন করলেই তার নাম পুনরায় ভোটার তালিকায় বহাল করা হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন