রেজাউল করিম গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ নভেম্বর ২০২৩, ০১:০৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পদ্মা নদীতে কারেন্ট জালের কারণে হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় মাছ

পদ্মা নদীতে চায়না দুয়ারী জাল ফেলে মাছ ধরা হচ্ছে। ছবি : কালবেলা
পদ্মা নদীতে চায়না দুয়ারী জাল ফেলে মাছ ধরা হচ্ছে। ছবি : কালবেলা

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পদ্মা নদীতে ব্যাপকভাবে ছেয়ে গেছে কারেন্ট জাল ও চায়না দোয়ারী। পদ্মা নদী ও নদীর শাখা খাল বিল ও জলাশয় মধ্যে রয়েছে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারী দিয়ে মাছ শিকারের প্রতিযোগিতার শুরু হয়েছে। ফলে ধ্বংস হচ্ছে বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির মাছ ও জলজপ্রাণী।

জানা গেছে, পদ্মা নদীসহ খাল বিলে চায়না দোয়ারী ও নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়ে জাটকা ইলিশ, পোনা মাছ ও ডিমওয়ালা মা মাছ শিকার করা হচ্ছে। এ ছাড়া সব প্রকার দেশীয় প্রজাতির মাছ, পোকা-মাকড়, ব্যাঙ, সাপ, কুচিয়া মারা পড়ছে এই সব মরণফাঁদে। সেই সাথে রক্ষা পাচ্ছে না বিপন্ন জলজপ্রাণী শুশুকও। এ কারণে নদীতে বিলুপ্তর পথে বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির মাছ ও জলজপ্রাণী।

সকলের দাবি, পদ্মা নদীতে অবাধে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারী দিয়ে মাছ শিকার করা বন্ধ না করলে আগামীতে নদী থেকে বিপন্ন প্রজাতির মাছ ও দেশি মাছগুলো ধ্বংস হয়ে যাবে। যা আগামী প্রজন্মের কাছে শুধু ছবিতে ও গল্পেই শোভা পাবে।

জেলেরা বলছেন, স্থানীয় কিছু অসাধু জেলেদের কারণে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছসহ জলজ প্রাণীগুলো। নিষিদ্ধ কারেন্ট জালে আটকা পড়ে জাটকা ইলিশ, ডিমওয়ালা মা মাছ। যার কারণে ডিম ছাড়তে না পারায় ইলিশসহ দেশি প্রজাতির মাছ আর দেশে দেখতে পাব না। এসব অবৈধ মাছ শিকার করার মরণ ফাঁদগুলো অতি দ্রুত নদীতে ও হাট বাজারে অভিযান চালিয়ে ধ্বংস করা প্রয়োজন।

মাছ বিক্রেতারা জানান, নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারী দিয়ে কিছু অসাধু জেলেরা নদী ও খাল-বিল থেকে অবাধে দেশীয় প্রজারি মাছ ধরে বিক্রি করছেন। আগামীতে এ মাছ ধরা বন্ধ করা হলে, এ দেশে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি ও বিলুপ্ত প্রায় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পাওয়া যেত।

দৌলতদিয়া ঘাট নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবির বলেন, পদ্মা নদীতে অসাধু মাছ জেলেরা নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারী দিয়ে অবৈধভাবে বারো মাসই থেকে মাছ শিকার করার চেষ্টা করে। কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারী মাছ নিধনে দেশের বড় শত্রু। নৌপুলিশ নিয়মিতভাবেই পদ্মা নদীতে অভিযান পরিচালনাসহ জাল উদ্ধার ও তা ধ্বংস করে আসছে। আগামীতেও এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

গোয়ালন্দ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোস্তফা আল রাজীব বলেন, নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে অল্প পরিশ্রমে বেশি মাছ অপহরণে চায়না দুয়ারী এখন সারা দেশে আলোচিত বিষয়। মৎস্য অফিস মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে আসছে। কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারী ব্যবহার যাতে না করে জেলেদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

যুদ্ধবিরতি বৈঠক / ‘আমি বৃহস্পতিবার তুরস্কে পুতিনের জন্য অপেক্ষা করব’

‘পিন্ডি না ঢাকা’ বিষয়ে মাহিন সরকারের ব্যাখ্যা

সামনে বহু লড়াই বাকি : হান্নান মাসউদ

‘তারেক রহমান ডাক দিলে নির্বাচনের দাবিতে ঢাকায় লাখো লোক জমায়েত হবে’

সন্ত্রাসে জড়িত ব্যক্তি ও সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা যাবে

মাদকসেবির হামলায় পুলিশের এসআই আহত

লঞ্চে দুই তরুণীকে মারধরের ঘটনায় মামলা

ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৬ ডাকাত গ্রেপ্তার

দেশের প্রথম বন খেজুর গাছের সন্ধান দিনাজপুরে

ইতালি পালেরমোতে দুই বাংলাদেশি আটক

১০

বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

১১

আ.লীগকে বিচারের আওতায় আনার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল গণসংহতি আন্দোলন

১২

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল সোমবার

১৩

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় বিশ্বকাপ স্থগিত

১৪

ইবিতে ‘ডি’ ইউনিটের ফলাফল ঘোষণা

১৫

পা দিয়ে লিখে বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেলেন মানিক

১৬

‘কেউ খুশি হয়ে কিছু দিলে সেটা চাঁদাবাজি নয়’

১৭

নাটোরে বিএনপির মতবিনিময় সভায় গুলি ছোড়ার অভিযোগ

১৮

‘হাসিনার সময় ওয়াজ নিষিদ্ধ ছিল’

১৯

হোটেল কর্মচারীর গায়ে গরম মাড় নিক্ষেপ, অতঃপর...

২০
X