বিএনপির অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ‘নির্বাচনের আইনে কিন্তু এমনটি বলা নেই যে, সব দলই আসতে হবে। যারা স্বেচ্ছায় আসবেন না তাদের আমরা কীভাবে আনব? আমরা তো তাদের আনার চেষ্টা করেছি। তারা না এলে যে নির্বাচন হবে না, তা কিন্তু নয়। নির্বাচন আইনের মধ্যেই হয়ে যাবে, তাতে কোনো বাধা নেই। ওনারা এলে আমরা স্বাগত জানাব, অবশ্যই আমরা খুশি হব।’
বিএনপি অংশ না নিলে সেই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক বলা যাবে কি না- প্রশ্নে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘কমিশনে নিবন্ধিত দল ৪৪টি। এর মধ্যে ৩০টি দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে; এর অর্থ সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই এসেছে।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বগুড়ায় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
বগুড়া বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস এবং বগুড়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা প্রধান অতিথি ছিলেন। রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীরের সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভায় বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জয়পুরহাট ও নওগাঁ জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইসি রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক বা না করুক সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে কমিশনের চিন্তাভাবনা রয়েছে। আমরা প্রয়োজন বুঝে সেনাবাহিনী মোতায়েনের ব্যবস্থা নেব। তবে তারা মাঠে থাকলেও বিচারিক ক্ষমতা থাকবে না, কারণ এতে আইনি বাধা আছে। আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কিছু করতে দেওয়া হবে না। তারা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।’ তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আগে এবং পরে সবসময়ই আমাদের আইনশৃঙ্ক্ষলা বাহিনী নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করবে। যত রকমের সমস্যাই আসুক ওনারা সেটা মোকাবিলা করবেন সাহস ও দক্ষতার সঙ্গে। এ বিষয়ে সামগ্রিক প্রস্তুতিই রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই চাই যত নিবন্ধিত দল আছে এসে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হোক এটা আমাদের ঐকান্তিক চাওয়া। তারই ধারাবাহিকতায় যারা আসতে চাচ্ছে না তাদের আমরা বারবার আহ্বান করেছি, আপনারা আসেন। আমরা এখনো আশাবাদী, ওনারা হয়তো আসবেন। যদি আসেন, তাহলে সিইসি মহোদয় বলেছেন, আমিও বলেছি- আসলে এটা আমরা অবশ্যই বিবেচনায় নেব। তারা নির্বাচনে আসলে কীভাবে তাদের সহায়তা দেওয়া যায় তা আমরা ভাবব, তাদের জন্য সেই সুযোগ আছে। তবে তা অবশ্যই সাংবিধানিকভাবে যে মেয়াদকাল দেওয়া আছে তার মধ্যেই হতে হবে। আমাদের কোনোভাবেই ২৮ জানুয়ারি অতিক্রম করার কোনো সুযোগ নেই, এটি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা।’
নির্বাচন কমিশনার বলেন, যারা কারাগারে আছেন তাদেরও ভোট দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তারা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে চাইলে কারা কর্তৃপক্ষের মধ্যমে ভোট দিতে পারবেন। চাইলে প্রবাসীরা বা নির্বাচন কাজের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত থাকবেন তারাও আইন মেনে ভোট দিতে পারবেন।
মন্তব্য করুন