টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৩৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইলে আ.লীগ নেতা হত্যা মামলা

আদালতে আত্মসমর্পণের পর ফের কারাগারে সাবেক মেয়র মুক্তি

ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার আসামি সহিদুর রহমান খান মুক্তি। ছবি : সংগৃহীত
ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার আসামি সহিদুর রহমান খান মুক্তি। ছবি : সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি আদালতে আত্মসমর্পণের পর আবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোস্তফা শাহরিয়ার খান তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মনিরুল ইসলাম খান জানান, মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে মুক্তি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে আদালতের বিচারক তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে সোমবার (২০ নভেম্বর) উচ্চ আদালত থেকে মুক্তি ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়ে বুধবার (২২ নভেম্বর) কারামুক্ত হয়েছিলেন।

আদালত সূত্র জানায়, রোববার (২৬ নভেম্বর) আপিল বিভাগের আদেশের তথ্য গোপনসহ মুক্তির জামিন আবেদন ঘিরে কিছু অসংগতির অভিযোগ তোলে রাষ্ট্রপক্ষ। এর পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তির জামিনাদেশ প্রত্যাহার করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি রেজাউল হাসান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তিকে টাঙ্গাইলের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

এর আগে আপিল বিভাগ গত ২৭ আগস্ট এক আদেশে সম্ভাব্য ছয় মাসের মধ্যে মামলাটির বিচার কাজ শেষ করতে বিচারিক আদালতে নির্দেশ দেন। এতে তথ্য গোপন বিষয়টির শুনানি করে হাইকোর্ট আত্মসমর্পণের ওই আদেশ দেন।

বুধবার (২২ নভেম্বর) কারামুক্ত হওয়ার পর টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন মুক্তি। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান তিনি। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে হুইল চেয়ারে বসে আদালতে আসেন মুক্তি। এ সময় তার বাবা টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান এবং তার ভাই সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা তার সঙ্গে ছিলেন।

২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর সহিদুর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। মাঝে গত বছর অন্তর্বর্তী জামিনে ১৮ দিন কারাগারের বাইরে ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ তার কলেজ পাড়ার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২০১৪ সালের আগস্টে পুলিশ আনিসুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আলী নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে। এই দুজনের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান, তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান ও ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সানিয়াত খানের জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে।

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে গোয়েন্দা পুলিশ আদালতে আমানুর রহমান ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। বর্তমানে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভারতে ফেরত পাঠানো হলো সন্তানসহ অন্তঃসত্ত্বা সোনালি বিবিকে

বিপিএল শুরুর আগেই মিলল দুঃসংবাদ

সিরিয়ায় আসাদের পতনের পর ২১ অভিযান মার্কিন জোটের

সবার থেকে আপনার শীত বেশি লাগছে, জেনে নিন কারণ কী

পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে আবার গোলাগুলি

ভারতের ম্যাচসহ টিভিতে আজকের যত খেলা

আজ ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

শুষ্ক আবহাওয়ায় ঢাকায় তাপমাত্রা নেমে ১৮ ডিগ্রিতে

সিরিয়ার জ্বালানি খাতকে সুযোগ হিসেবে দেখছে পশ্চিমারা

বিয়ের বৈঠকে বাগ্‌বিতণ্ডা, ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী নিহত

১০

রাজধানীতে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, একই পরিবারের দগ্ধ ৬

১১

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

১২

শীতে কাঁপছে তেঁতুলিয়া, তাপমাত্রা নেমে ১১ ডিগ্রিতে

১৩

৬ ডিসেম্বর : ইতিহাসের এই দিনে যা ঘটেছিল

১৪

শনিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১৫

৬ ডিসেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৬

নতুন ‘বাবরি মসজিদের’ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শনিবার

১৭

নতুন প্রজন্ম শান্তিপূর্ণ রাজনীতি প্রত্যাশা করে : ইশরাক

১৮

ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা আজ

১৯

‘খালেদা জিয়া বাংলাদেশের মানুষের আপনজন’

২০
X