ভারতের বিরুদ্ধে নতুন অভিযান শুরু করেছে পাকিস্তান। দেশটি জানিয়েছে, ভারতের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস’ নামে নতুন অভিযান শুরু করা হয়েছে। এর মূল লক্ষ্য ভারতের সামরিক পোস্ট।
শনিবার ( ১০ মে) জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৭ মে ভারতীয় সেনাবাহিনী কর্তৃক পাকিস্তানের সীমান্তে অনাক্রমণীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। ভারতীয় হামলায় ৩১ বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার দাবি করেছে পাকিস্তান। এর জবাবে পাকিস্তান তাদের বিমান বাহিনীর মাধ্যমে পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান, যার মধ্যে তিনটি রাফালে এবং ডজনখানেক ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
উত্তেজনার সর্বশেষ অধ্যায়ে পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস’ চালু করেছে, যা সরাসরি ভারতীয় সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ভারতের ১১টি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা টার্গেট করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে পাঠানকোট, উধমপুর, গুজরাট, রাজস্থান বিমানঘাঁটি এবং ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের গুদাম।
পাকিস্তানের সামরিক সূত্র অনুসারে, তাদের নিজস্ব তৈরি ফাতেহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে উধমপুর বিমানঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে। একই সঙ্গে উরি অঞ্চলের একটি ভারতীয় ব্রিগেড সদর দপ্তর এবং রসদ ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া, সাইবার আক্রমণের মাধ্যমে ভারতের বিদ্যুৎ গ্রিডের ৭০ শতাংশ অকেজো করে দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তান বিমানবাহিনী দাবি করেছে, তাদের জেএফ-১৭ থান্ডার যুদ্ধবিমান থেকে উৎক্ষেপিত হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে ভারতের অত্যাধুনিক এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এডাম্পুর এয়ারবেসেও হামলা চালানো হয়েছে।
এছাড়া ভাতিন্ডা, হালওয়ারা এবং সিরসা এয়ারফিল্ডেও হামলা চালানো হয়েছে, যা ভারতের বায়ু প্রতিরক্ষা অঞ্চলে গভীর অনুপ্রবেশের ইঙ্গিত দেয়।
সাইবার যুদ্ধের অংশ হিসেবে পাকিস্তান বেশ কয়েকটি ভারতীয় সরকারি ও সামরিক ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে, যার মধ্যে রয়েছে বিজেপির সরকারি ওয়েবসাইট, ক্রাইম রিসার্চ ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি, মহারাষ্ট্র স্টেট ইলেকট্রিসিটি ট্রান্সমিশন কোম্পানি এবং ভারত আর্থ মুভার্স লিমিটেড। মহারাষ্ট্রে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্র।
জবাবে, ভারতীয় সামরিক বাহিনী পাকিস্তানের মুরিদ, নুর খান এবং শোরকোট বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ভারত দাবি করেছে যে, তারা আফগানিস্তানেও একটি ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে জি-৭ গোষ্ঠী উভয় পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে এবং সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য উৎসাহিত করেছে।
মন্তব্য করুন