বরিশালের বাকেরগঞ্জে পাক হানাদারমুক্ত দিবস আজ। ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর পাক হানাদারমুক্ত করে আকাশে উত্তোলন করা হয় স্বাধীনতার লাল সবুজ পতাকা। ওই দিন মুক্তিযোদ্ধাদের জয় বাংলা স্লোগানে প্রকম্পিত হয় বাকেরগঞ্জের মাটি।
সমবেত আক্রমণে রাজাকার, আলবদর, আলশামস, পুলিশ, ইপিআরসহ মোট ১৭ জন নিহত হয় এবং বহু কুখ্যাত লোক মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে বন্দি হয়।
মহান মুক্তিযুদ্ধে বাকেরগঞ্জে প্রায় চার শতাধিক মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় এবং বহু ঘরবাড়ি পুড়িয়ে অনেক নারীর সম্ভ্রম হরণ করা হয়। তার মধ্যে কলসকাঠী, শ্যামপুর, গারুড়িয়া, দূর্গাপাশায় নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়।
মুক্তিযুদ্ধের নীরব সাক্ষী ঐতিহাসিক কলসকাঠীসহ বিভিন্ন স্থানসমূহের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ আগামী প্রজন্মের জন্য সংস্করণ করার দাবি জানিয়েছে বাকেরগঞ্জবাসী।
এ ছাড়াও পাক হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে বাকেরগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কাদের হাওলাদার জানান, ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য উপজেলা মুক্তিযোদ্ধাদের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে। সকাল সাড়ে ৮টায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পতাকা উত্তোলন, সকাল ৯টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, সকাল সাড়ে ৯টায় বাকেরগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা ভবনে আলোচনাসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন