কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌর এলাকায় শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) পর্যন্ত গত দুই দিনে উপজেলা ও পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় ১৪ জনকে কামড়ে আহত করেছে শিয়াল। শিয়ালের কামড়ে আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন তারা।
আহতরা হলেন, পৌর শহর চন্ডিবের এলাকার কাজী আল আমিন (৪১), শুভ (২০), আলম (২১), সোয়েব মোল্লা (৫১), তমাল খাঁ (২৪), অনিক মোল্লা (২৫), পুলতাকান্দা এলাকার সোলায়মান (৩৭), ভৈরবপুর এলাকার আরমান (২৬), উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নের রবিন মিয়া (১৯), মধ্যেচর গ্রামের সোহেলা বেগম (৩১), রুবেল (২৮), ফরিদ মিয়া (৪৩), জামালপুর গ্রামের মোশারফ (৩৭) ও পার্শ্ববর্তী রায়পুরা উপজেলার তানভীর (২৬)।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত দুই দিনে ভৈরব পৌর শহরের চন্ডিবের, পুলতাকান্দা, ভৈরবপুর ও উপজেলার শিমুলকান্দি, মধ্যচর, জামালপুর এলাকায় শিয়ালের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৪ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে সোয়েব মোল্লা নামের এক ব্যক্তিকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকার মহাখালীতে আইসিডিডিআর,বি হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী পৌর শহরের চন্ডিবের এলাকার বাসিন্দা তুহিনুর রহমান বলেন, সারাদিন বৃষ্টি থাকায় সবাই যার যার মতো করে ঘরে অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ রাতে আমাদের এলাকায় একটি শিয়াল ৭-৮ জনকে কামড়ে আহত করে। তারা সবাই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ছাড়া তাদের মধ্যে সোয়েব মোল্লা গুরুতর আহত হলে তাকে ঢাকা মহাখালী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
চন্ডিবের এলাকার মোজাম্মেল হক বলেন, শিয়ালের কামড়ের ঘটনায় আতঙ্কে আমাদের এলাকায় কেউ বাসা থেকে বের হচ্ছে না। রাতে আমার ঘরের সামনে যখন শিয়াল কামড় দিতে আসে তখন আমি লাঠি বল্লম দিয়ে দৌড়িয়ে দেই। পরে এলাকাবাসী মিলে পাগলা শিয়ালটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সোহরাব হোসেন সৌরভ কালবেলাকে জানান, উপজেলা ও পৌর শহরের ১৪ জন রোগী শিয়ালের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনকে আইসিডিডিআর,বি ঢাকা মহাখালীতে রেফার্ড করা হয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকারের দেওয়া ইমুনিগ্লুভিন টিকা রোগীদের দেওয়া হয়েছে। সম্ভবত শিয়ালটি রেবিস ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। তাতেই সে জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়ে সবাইকে কামড়াচ্ছে। যারা আক্রান্ত তারা দ্রুত ভ্যাকসিন নিলে আর ক্ষতি হবে না।
মন্তব্য করুন