দিনাজপুরের বিরামপুরে আড়াই টাকায় এক কেজি মুলা বিক্রি করছেন কৃষক। সেখানে পাল্লা হিসেবে চার কেজি মুলা ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুলার উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবং পাইকারি ও খুচরা বাজারে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় মুলা চাষিদের পাইকারিভাবে এই দামে মুলা বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে খুচরা বাজারে ক্রেতাকে প্রতি কেজি মুলা ৮ থেকে ১০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিরামপুরের নতুন বাজারে মুলা চাষিরা পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে প্রতি মণ মুলা ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি করছেন। সেই হিসেবে কৃষক দুই টাকা থেকে আড়াই টাকা কেজিতে মুলা বিক্রি করছেন।
সকালে শহরের সবজির পাইকারি বাজারে সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার হাবিবপুর, মাহমুদপুর, দয়েরপাড়, সারাঙ্গপুর, চক বসন্ত, হরিদাশপুর, ভেলারপাড়, পটুয়াকোল, মুকুন্দপুর, বাদমৌকা, ফকিরপাড়া, বালুপাড়া ও কাটলা থেকে বস্তা ভর্তি মুলা পাইকারি বাজারে আনেন চাষিরা। চাষিরা জানান, এক সপ্তাহ আগে সবজির পাইকারি বাজারে প্রতি মণ মুলা ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এখন সেই মুলার দাম কমেছে। প্রতি মণ ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ভেলারপাড় গ্রামের মুলাচাষি ইয়াছিন আলী পাইকারি বাজারে মুলা এনেছেন ৫ মণ । তিনি বলেন, এ বছর বেশির ভাগ কৃষকই তাদের জমিতে মুলা আবাদ করেছেন। ফলনও খুব ভালো হয়েছে। এ জন্য বাজারে মুলার সরবরাহ অনেকাংশে বেড়েছে। তিনি ৫ মণ মুলা ৫০০ টাকায় বিক্রি করেছেন।
মুকুন্দপুর গ্রামের বাদল মিয়া বলেন, মুলা আবাদ করতে জমি চাষ, বীজ, সার ও পরিবহন বাবদ অনেক খরচ হয়েছে। আর গাড়ি ভাড়া দিয়ে সেই মুলা বাজারে এনে এখন কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম ইলিয়াস জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ১ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ হয়েছে। চলমান রাজনৈতিক হরতাল-অবরোধের কারণে এলাকার উৎপাদিত মুলা জেলার বাইরে যাচ্ছে না। এ কারণে স্থানীয় বাজারে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় মুলার দাম অনেক কমে গেছে।
মন্তব্য করুন