মিরসরাইয়ের মিঠানালা ইউনিয়নে জিয়াউল হাসান জুয়েল (২২) নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ৪ নম্বর আসামি আবুল বশরকে (৬০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৭)।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানাধীন কাজীপাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এদিকে জুয়েল হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইউনুসসহ আরও ৩ আসামি পলাতক রয়েছে।
গ্রেপ্তার আবুল বশর উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়নের রাজাপুর এলাকার মৃত জালাল আহম্মদের ছেলে।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার বলেন, গত ২৮ নভেম্বর নিহত জুয়েলের সাথে মামলার আসামি আবুল বশরের সাথে অন্যান্য সহযোগীদের সাথে বাগবিতণ্ডা হয়। পরদিন ২৯ নভেম্বর রাতে রাজাপুর নতুন রাস্তার মাথায় দোকানে চা খাওয়ার সময় বশর ও তার সহযোগীরা জুয়েলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের পিতা মো. আলমগীর বাদী হয়ে চারজন এজাহারনামীয় এবং দুই থেকে তিনজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মিরসরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও বলেন, রোববার (১০ ডিসেম্বর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম শহরের বন্দর থানার কাজীপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার ৪ নম্বর আসামি আবুল বশরকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জুয়েলকে কুপিয়ে হত্যা করে বলে জানায় সে। তাকে মিরসরাই থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মিরসরাই থানার ওসি মো. কবির হোসেন বলেন, মিঠানালা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ কর্মী জুয়েলকে কুপিয়ে হত্যার মামলার ৪ নম্বর আসামি আবুল বশরকে রোববার রাতে র্যাবের একটি দল থানায় হস্তান্তর করেছে। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে তাকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ নভেম্বর বুধবার রাত ১১টায় মিরসরাই উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ কর্মী জিয়াউল হাসান জুয়েলকে (২২) হাদিমুছা এলাকার রাজাপুর নতুন রাস্তার মাথা এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা। পরদিন ৩০ নভেম্বর মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে বাদ আসর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মন্তব্য করুন