শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী একেএম এনামুল হক শামীমের একটি নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) ভোরে উপজেলার ঘড়িসার ইউনিয়নের বাহের কুশিয়া এলাকায় দুর্বৃত্তরা ওই অস্থায়ী ক্যাম্পটিতে আগুন দেয়। আগুনে নৌকা প্রতীকের একটি ব্যানার, ১০টি চেয়ার ও ক্যাম্পটির চারপাশের কাপড় পুড়ে গেছে।
এ ছাড়াও ভুমখাড়া ইউনিয়নের গোড়াগাঁও এলাকায় নৌকা প্রতীকের আরেকটি ক্যাম্পে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি লিটন মোল্যার রাহাপাড়ার বাড়ির সামনে দুটি ককটেল বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
পুলিশ ও আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর-২ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ঈগল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন যুবলীগের সভাপতি মন্ডলির সদস্য খালেদ শওকত আলী। এ ছাড়া আরও ৮ জন প্রার্থী আসনটিতে নির্বাচন করছেন। গত ১৯ ডিসেম্বর হতে স্বতন্ত্র ও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ১০ নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ক্যাম্প ভাঙচুরের ঘটনায় নড়িয়া থানায় ৫টি মামলা করা হয়েছে।
নড়িয়া-ঘড়িসার সড়কের বাহিরকুশিয়া এলাকায় সড়কের পাশে নৌকা প্রতীকের একটি অস্থায়ী নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। কাপড় দিয়ে ক্যাম্পটি নির্মাণ করা হয়েছে। শুক্রবার ভোরের দিকে দুর্বৃত্তরা ওই ক্যাম্পে আগুন ধরিয়ে দেয়। দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে ক্যাম্পের একটি অংশের কাপড়, নৌকা প্রতীকের ব্যানার ও ১০টি চেয়ার পুড়ে যায়। ওই সময়ে নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ঘড়িসার ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের সমন্বয়ক লিটন মোল্যার রাহাপাড়া গ্রামের বাড়ির সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরন করা হয়। শুক্রবার ভোর রাতে ভুমখারা ইউনিয়নের পোড়াগাঁও এলাকায় নৌকা প্রতীকের আরেকটি নির্বাচনী ক্যাম্পের কাপরে আগুন ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। পরে স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে ফেলায় ওই ক্যাম্পের কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি।
নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি লিটন মোল্যা বলেন, আমাকে ভয় দেখাতে আতংক সৃষ্টি করতে আমার বাড়ির সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এবং আমার ইউনিয়নের একটি নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দেওয়া হয়েছে। এতে আমরা ভীত নই। আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়েছে।
ভুমখাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বলেন, দুর্বৃত্তরা আমার ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নৌকা প্রতীকের একটি ক্যাম্পে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।
নড়িয়া থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হঠাৎ খবর পাই আওয়ামী লীগের প্রার্থীর নির্বাচনী একটি ক্যাম্পে আগুন দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই আমি ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে যাই। কে বা কারা কী উদ্দেশে এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে আমরা তা অনুসন্ধান করছি এবং তদন্ত করছি। এ ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন