বরগুনার তালতলী উপজেলার পশ্চিমে খোট্টার চর এলাকার একটি সংযোগ সেতু দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। যে কোনো তা মুহূর্তে ভেঙে যেতে পারে। কিন্তু দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে এমন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকলেও সেতুটি দেখার মতো কেউ নেই। যার কারণে স্থানীয়রা এ সেতুটিকে এখন এতিম সেতু বলে ডাকেন। এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চলাচল করে।
স্থানীয়রা জানান, তালতলী মাছ বাজারসংলগ্ন জেটিঘাট এলাকার খালের ওপরের সেতুটি ২০০৭ সালে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে বিভিন্ন অংশ ভেঙে যায়। সিডরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৬ বছরেও সেতুটির কোনো সংস্কার বা দেখার মতো কেউ নেই। বর্তমানে একেবারে ঝুঁকিপূর্ণ যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
জানা যায়, সেতুটির পশ্চিম দিকে নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়ন আর পূর্বদিকে বড়বগী ইউনিয়ন। নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নেরই একাংশ খোট্টার চর এলাকা পায়রা নদীর তীরবর্তী হওয়াতে এখানকার মানুষ ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব মানুষের উপজেলা শহরে যাওয়ার একটি মাত্র সংযোগ সেতু এটি। প্রতিদিন হাজারো মানুষ যাতায়াত করে। এ সেতুটির নিচের লোহার পাইলিং ভেঙে গিয়ে আলাদা হয়ে গেছে। বন্যার আঘাতেও বিভিন্ন অংশ ভেঙে গেছে। এ ছাড়াও সেতুটি একদিকে হেলে পড়ায় ছোট কোনো যানবাহনও চলাচল করতে পারে না এ সেতু দিয়ে।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, এ সেতু দিয়ে যাতায়াত করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ আর বিকল্প পথ প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে। কর্তৃপক্ষের নজর নেই যার কারণে এভাবে অরক্ষিত অবহেলায় পড়ে আছে সেতুটি। স্থানীয়দের দাবি দ্রুত নতুন একটি সেতু নির্মাণ করা হোক।
বড়বগী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম লিটু খান বলেন, সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের খোট্টারচর এলাকার বেশিরভাগ মানুষজন জেলে। মাছ ধরে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে। এখানকার মানুষের উপজেলা শহরের সাথে সংযোগের একটিমাত্র পথ মাছ বাজার সংলগ্ন এ সেতুটি কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কার না করার ফলে সেতুটি এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দ্রুত একটি নতুন সেতু স্থাপনের দাবিও জানান তিনি।
তালতলী এলজিইডি প্রকৌশলী ইমতিয়াজ হোসাইন রাসেল বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতুটির অ্যাস্টিমেট করা হবে। এরপরে টেন্ডার হবে, তখন সেতুটির কাজ শুরু হবে।
মন্তব্য করুন