চরজব্বার থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলামের প্রত্যাহার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি শিহাব উদ্দিন শাহিন।
তিনি বলেছেন, ওসিকে প্রত্যাহার না করা হলে সুবর্ণচরে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত হবে।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা শহর মাইজদীর নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন। শাহিন ট্রাক প্রতীক নিয়ে ভোট করছেন। ভোটের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই ট্রাক প্রতীকের সমর্থন বাড়ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
শাহিন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত ওসির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। ফলে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহিন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা দেওয়ান মাহবুবুর রহমান কালবেলাকে বলেন, আমি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযোগ সঠিক হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নির্বাচনী প্রচারে কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা, প্রচারে বাধা, কার্যালয় ভাঙচুর, বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ এবং নৌকার প্রার্থীর বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন শাহিন। এতে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু জাহের, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাহার উদ্দিন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে শিহাব উদ্দিন শাহিন বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন যে, দলের প্রার্থীর পাশাপাশি দলের নেতাদের কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে দলের কোনো আপত্তি থাকবে না। এ কারণে স্থানীয় নেতা ও সাধারণ ভোটারদের চাপের মুখে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তৃণমূল পর্যায়ে তার পক্ষে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষজন স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দিচ্ছেন। এ কারণে নৌকার প্রার্থীর লোকজন বিভিন্ন এলাকায় তার কর্মীদের নানা হুমকি দেওয়া শুরু করেছেন। তারা এরই মধ্যে সুবর্ণচরে তার প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাহার উদ্দিনের বাড়িতে হামলা এবং ফটকে অগ্নিসংযোগ করেছেন। এ ছাড়া তার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব আবু নাছেরের বাড়িতে ককটেল হামলা, সুবর্ণচরে কর্মী তারেক মাসুদকে তুলে নিয়ে নির্যাতন, সদরের নোয়ান্নইতে নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর ও নেয়াজপুরে গণসংযোগে হামলা চালিয়েছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহিন অভিযোগ করে বলেন, একাধীক নির্বাচনী অপরাধের বিষয়ে চরজব্বর থানার ওসি লিখিত এজাহার দেওয়ার পরও তিনি মামলা রেকর্ড করে কোনো আসামিকে ধরেননি। ফলে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে অবিলম্বে ওই ওসিকে প্রত্যাহার করতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কথাও জানান শিহাব উদ্দিন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ওসি রফিকুল ইসলামকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
মন্তব্য করুন