জামালপুরে সরিষাবাড়ীতে নৌকা ও ঈগল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ঈগল প্রতীকের সমর্থক ও নেতাকর্মীরা শহরের প্রধান সড়কে বসে ঘণ্টাব্যাপী রাস্তা অবরোধ করে রাখে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঈগল প্রতীকের সমর্থকরা জানান, বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) আনুমানিক রাত সাড়ে ৭টার দিকে নৌকার সমর্থকরা সিমলা বাজার, থানা মোড়, বাসস্ট্যান্ড হয়ে আরডিএম স্কুলের দিকে যাচ্ছিল। মিছিলটি যখন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রবেশ করে তখন ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী প্রধান এজেন্ট সাখাওয়াত আলম মুকুলের লোকজন রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল।
এ সময় হঠাৎ নৌকার প্রার্থী মাহবুবুর রহমান হেলালের ছোট ভাই বিদ্যুৎ ঈগলের সমর্থক দেলখোশকে ধরে মারধর শুরু করে। এই দেখে সাখাওয়াত আলম মুকুল তাকে ছাড়াতে গেলে তাকেও ধরে বেদম মারধর করে। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয় এবং ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
এ ব্যাপারে ঈগলের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট সাখাওয়াত আলম মুকুল বলেন, নৌকার প্রার্থী মাহবুবুর রহমান হেলালের ছোট ভাই বিদ্যুৎ মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় ইচ্ছাকৃতভাবে সে আমাদের নেতাকর্মীর ওপর হামলা করে ও মারধর করে। আমি ছাড়াতে গেলে সে আমাকেসহ ঈগলের সমর্থকদের মারধর করে এবং অফিসে ঢুকে ভাঙচুর করে। এতে আমাদের ৮/১০ নেতাকর্মী ও সমর্থক আহত হয়েছে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং প্রশাসনিকভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করছি।
এদিকে নৌকা প্রার্থীর মাহবুবুর রহমান হেলালের ছোট ভাই বিদ্যুৎ সংঘর্ষের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলাম। এ সময় তারা রাস্তার পাশে দাঁড়ানো ছিল। আমি তাদের পাশ কাটিয়ে মিছিল নিয়ে চলে যাই। ওখানে কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার ওসি মুশফিকুর রহমান বলেন, নৌকা ও ঈগল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে এবং ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। এ ঘটনায় এখানো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন