দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনীর তিনটি আসনে কেন্দ্রের সংখ্যা ৩৯৯। জেলা প্রশাসন কেন্দ্রগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ না বললেও সবকটি কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ বলছে। অপরদিকে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) ভোরে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার ভোটকেন্দ্র চর সাহাভিকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি ভবনে পেট্রোল দিয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী আব্দুর রহমান আজাদ নামের একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করেছে। এরপর ভোটকেন্দ্রের ঝুঁকি নিয়ে আরও সতর্ক হয় প্রশাসন।
তপশিল অনুযায়ী, আগামী ৭ জানয়ারির নির্বাচনে ভোট গ্রহণ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন থেকে ইতিমধ্যে ফেনী-১, ২ ও ৩ আসনের জন্য ৮ হাজার ১৬১ জন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করার পাশাপাশি তাদের প্রশিক্ষণও শেষ করেছে। নির্বাচন কমিশন থেকে ব্যালট পেপারসহ অন্যান্য ভোটগ্রহণ উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে। ভোট গ্রহণের আগের দিন কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে ভোট গ্রহণ উপকরণ বুঝিয়ে দেওয়া হবে এবং শুধু ভোটের দিন সকালে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার।
ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, ৩৩৯টি কেন্দ্রকে আমরা গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছি। এর মধ্যে কয়েকটি কেন্দ্র অতি গুরুত্বপূর্ণ রয়েছে। বাকি ৬০টি কেন্দ্র সাধারণ হিসেবে দেখছে পুলিশ।
তিনি জানান, প্রতিটি কেন্দ্র সমান গুরুত্ব দিয়ে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, কখন, কােথায় অঘটন ঘটে তা তাে বোঝার উপায় নেই। তাই আমরা সব কেন্দ্রকেই সমান গুরুত্ব দিচ্ছি।
জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহিনা আক্তার বলেন, আমরা সব কেন্দ্রকেই সমান গুরুত্ব দিচ্ছি। সব কেন্দ্রকেই সমান গুরুত্ব দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা কাজ করছি।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক এলাকায় আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতা করার জন্য জেলার ছয় উপজেলার পাঁচ উপজেলাতে ৪০ জন ও সদর উপজেলায় দেড় শতাধিক সেনাবাহিনীর সদস্য ও প্রতি উপজেলায় বিজিবির ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলায় ৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতি উপজেলার জন্য ন্যূনতম এক প্লাটুন করে বিজিবি সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।
এ ছাড়াও কেন্দ্রে পুলিশ, আনসার সদস্যদের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে এবং ভোটকেন্দ্রে কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য প্রতি উপজেলায় একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর আলাদা আলাদা স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার।
মন্তব্য করুন