দিনাজপুরের বিরামপুরে দুই বছরে ৩৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০ জন নিহত হয়েছেন। গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্ত হওয়ায় ও রোড ডিভাইডার না থাকায় ছোট-বড় যানবাহন নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করে বেপরোয়া চলাচল করায় সড়ক দুর্ঘটনা দিন দিন বাড়ছে।
যানবাহন চালকদের বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানো, সচেতনতা ও নিয়ম-নীতি না মানা ও প্রশাসনের নজরদারি না থাকার কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
দিনাজপুরের দক্ষিণ অঞ্চলের প্রাণকেন্দ্র বিরামপুর পৌরশহর। মহাসড়কের দুপাশে মেইল বাস, লোকাল বাস, নাইট কোচ, টিকিট কাউন্টার। যাত্রীরা কাউন্টারের সামনে গাড়িতে ওঠানামার জন্য মহাসড়কের দুপাশে অবস্থান করায় রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে পড়ে। ফলে যানজট ও দুর্ঘটনা ঘটছে। উপার্জনক্ষম সদস্যকে হারিয়ে দিশাহারা হচ্ছে অনেক পরিবার। উঠতি বয়সে মায়ের বুক খালি করে ঝরে যাচ্ছে আদরের সন্তান। সংসারে নেমে আসছে শোকের ছায়া।
বিরামপুর থানা অফিসার ইনচার্জ সুব্রত কুমার সরকার দৈনিক কালবেলাকে বলেন, সড়ক পরিবহন আইন সম্পর্কে অজ্ঞতা, বেপরোয়া গাড়ি চালানো, গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে না রাখা, ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকা, সাধারণ মানুষের মহাসড়কের চলাচলে অসাবধানতা এরকম বহুবিধ কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। রাস্তা আধুনিকায়ন ও প্রশস্ত করার পাশাপাশি যানবাহন ট্রাক্টর, অটোরিকশা, সিএনজি মোটরবাইক, ইজিবাইক চলাচল বাড়ছে। অপরদিকে বৃদ্ধি পেয়েছে যানবাহনের গতিবেগ। প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার হাটবার থাকায় যত্রতত্র যানবাহন রাস্তার দুপাশে রাখার কারণে রাস্তা সংকুচিত হচ্ছে। চা, বিস্কুট, ফুচকা ডালপুরি তথা ভ্রাম্যমাণ দোকানে ফুটপাত দখলে থাকায় মহাসড়ক দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পথচারীরা চলাচল করছে।
থানা সূত্রে জানা যায়, বিরামপুরে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর হতে ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০২২ সালের মার্চ থেকে ২০২৩ সালে ডিসেম্বর পর্যন্ত ২১টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। মৃত্যুবরণ করেছেন ২২ জন। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সড়ক দুর্ঘটনা দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ আধুনিকায়নে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার সময়ের দাবি, নচেৎ এভাবে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকবে।
মন্তব্য করুন