শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৩:৪৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সংযোগ সড়কের অভাবে ভোগান্তিতে দুই গ্রামের মানুষ

দুই পাশের প্রায় ৪ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র পথ এই সেতু। ছবি : কালবেলা
দুই পাশের প্রায় ৪ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র পথ এই সেতু। ছবি : কালবেলা

শেরপুরের শ্রীবরদীতে বয়শা খালের ওপর মাদারপুর-গড়পাড়া সড়কের সেতু নির্মাণ হয়েছে প্রায় দুই যুগ আগে। কিন্তু ৬ বছর আগে ভাঙনের কবলে পড়ে দুই পাশের সংযোগ সড়ক। বর্তমানে সেতুতে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা বাঁশের খুঁটির ওপর ৩টি বাঁশ। এতে চরম ভোগান্তিতে আছে দুই পারের কয়েক হাজার মানুষ। নদীর ওপারে হাজার একর জমির আবাদে কৃষকের কষ্টের সাথে খরচও বাড়ছে। সেতুটি ২০০৫-০৬ অর্থবছরে ৮০ লাখ টাকা দিয়ে তৈরি করা হয়। তবে সেতুটি বিভিন্ন অংশ ভালো থাকলেও সংযোগ সড়ক হলেই কমে যায় দুর্ভোগ। সংশ্লিষ্টদের চরম অবহেলা ও আশ্বাসের বাণীতে এখন ঝুলতে ব্রিজের ভাগ্য।

স্থানীয় কৃষক আশরাফ আলী বলেন, দুই পারের মানুষের যাতায়াত ও বৃহত্তর বয়শা বিল থেকে আমাদের আবাদ ঘরে তোলার জন্য তৈরি করা হয় সেতুটি। সেতুর পূর্ব অংশের মানুষের প্রায় ৫শ একর জমি বিলের ওপারে। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে বাঁশের তৈরি চাং তৈরি করে চলাচল করছি। শুষ্ক মৌমুসেও নদীর পানি বেশি থাকে তাই চলাচলে খুব কষ্ট হচ্ছে।

সাইফুল ইসলাম নামের স্থানীয় যুবক বলেন, দুই পাশের প্রায় ৪ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র পথ এটি। আমাদের শতাধিক শিক্ষার্থীর বিকল্প পথ না থাকায় অন্য ইউনিয়নে পড়ালেখা করে। এই সেতু এখন আমাদের গলার কাটা হয়েছে।

স্কুল শিক্ষার্থী ইমরান বলেন, আমি স্কুলে যাওয়া আসার সময় আমার বাবা সাইকেল ঘাড়ে নিয়ে ব্রিজ পার করে দেন। আমার আসা যাওয়ায় অনেক কষ্ট কয়। দ্রুত সেতুটি তৈরি করলে আমাদের উপকার হতো।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল মিয়া বলেন, আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে এ ব্যাপারে বারবার বলেছি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন কিন্তু কাজ শুরু হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে শ্রীবরদী উপজেলা এলজিইডি ইঞ্জিনিয়ার মশিউর রহমান কালবেলাকে বলেন, সেতুটির দুই পাশে নদী শাসনের প্রয়োজন। নদীর গতিপথ বদলে যাওয়ায় এমন হয়েছে। আমি সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চাঁদাবাজির অভিযোগে ২ যুবককে গণপিটুনি

সেই তন্বীর বিরুদ্ধে লড়বেন জান্নাতুন নাহার

দুই বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল হেলপারের

সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের মৃত্যুতে সিইউজে’র শোক

রাজধানীর পান্থপথে দেয়াল ধসে নিহত ১

কালকিনিতে আনিসুর রহমান খোকন / মায়েদের পাশে থাকবে বিএনপি

দিনে কত কাপ চা খাওয়া উচিত, জানালেন বিশেষজ্ঞ

২০২৬ সালের এইচএসসি পরীক্ষার সিলেবাস কেমন হবে, জানা গেল

শান্ত-সৌম্যর বাদ পড়ার কারণ জানালেন গাজী আশরাফ

বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী

১০

‘এখন কাউকে ধরতে যৌক্তিক কারণ লাগে না, তবে সত্যের জয় হবে’

১১

হাওরে নৌকা ডুবে নিখোঁজ ২

১২

‘পৃথক সচিবালয় ছাড়া বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব নয়’

১৩

রাতের মধ্যে যেসব জেলায় হতে পারে বজ্রবৃষ্টি

১৪

বেসরকারি সংস্থায় চাকরি, বেতন ৩৮০০০ টাকা

১৫

চট্টগ্রামে শিল্পী সম্মিলন ও আর্ট ক্যাম্পে মিলন মেলা

১৬

যে কারণে এশিয়া কাপ দলে সোহান-সাইফ, জানালেন প্রধান নির্বাচক

১৭

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ কবে, জানালেন প্রশাসক

১৮

ভারতে মোদির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন থালাপতি বিজয়

১৯

‘নির্বাচনে কাজ করবে সাড়ে ৬ লাখ আনসার-ভিডিপি’

২০
X