পাবনার চাটমোহরে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পলিথিনে ঢাকা শীত ও কুয়াশাসহিষ্ণু বীজতলা। বিল থেকে বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার পর আগাম বোরো চাষের লক্ষ্যে কৃষক মাঠের নিচু জমি পতিত রাখেন। আবার কিছু কৃষক উঁচু জমিতে বাড়তি ফসল পেতে সরিষা চাষ করেন। নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে কৃষক বীজতলা তৈরি করেন। ডিসেম্বরের শেষ ভাগ থেকে জানুয়ারির শেষ ভাগ সময় পর্যন্ত শীতের কুয়াশা বাড়ায় বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ক্ষতির হাত থেকে বীজতলা রক্ষায় সচেতন কৃষক পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে দেন। রোদের সময় পলিথিন সড়িয়ে দেন। এ পদ্ধতিতে বীজতলা ভালো থাকায় ক্রমেই বাড়ছে শীত-কুয়াশাসহিষ্ণু পলিথিনে ঢাকা বীজতলার সংখ্যা।
কৃষি বিভাগের মতে, শীত ও কুয়াশাসহিষ্ণু বীজতলা তৈরি করে সফলতা পাওয়ায় এ অঞ্চলে পদ্ধতিটি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাটমোহরের প্রায় দশ ভাগ কৃষক এ বছর বোরো চাষের লক্ষ্যে শীত ও কুয়াশাসহিষ্ণু বীজতলা তৈরি করেছেন।
কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কৃষি বিভাগের পরামর্শে এ ধরনের আদর্শ বীজতলা তৈরী করছেন তারা। প্রচলিত পদ্ধতিতে বীজ ধান বেশি লাগলেও এ পদ্ধতিতে বীজ ধান কম লাগে। এ পদ্ধতিতে চারার রোগব্যাধী কম হয়। অধিক শীত ও কুয়াশায় বীজতলার খুব একটা ক্ষতি হয় না। তাই এ ধরনের বীজতলার সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
চাটমোহর কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে চাটমোহরে বোরো চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ হাজার ২০০ হেক্টর। ৫৮০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। কৃষক এর মধ্যে প্রায় দশ ভাগ বীজতলা পলিথিন শেড পদ্ধতিতে তৈরি করেছেন।
চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এ মাসুম বিল্লাহ জানান, পলিশেড বীজতলা শীত ও কুয়াশাসহিষ্ণু। এ ধরনের বীজতলা কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। আধুনিক এ পদ্ধতিটি কৃষকদের মাঝে বেশ সারা ফেলেছে।
মন্তব্য করুন