বগুড়ার গাবতলীতে সরকারি কর্মচারীদের মারধরের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এতে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিলু, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর শাহ জামাল ওরফে শাজাহানসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে থানায় মামলাটি দায়ের করেন উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) হিসাব সহকারী রাজ্জাকুল হায়দার।
মামলায় বলা হয়েছে, গত বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় অফিসে কাজ করার সময় পুরোনো ফাইল খুঁজতে আসেন শাজাহান ও দেলোয়ার হোসেন দিলুসহ ১০-১২ জন। ফাইলটি আমাদের অফিসে না থাকার কারণে তাদের বলা হয় ফাইলটি আমাদের অফিসে নেই, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) অফিসে আছে। তখন তারা বলেন, আমরা খোঁজ করতে পারব না, আমরা আওয়ামী লীগ করি, কীভাবে ফাইল বের করতে হয় আমাদের জানা আছে। পুনরায় আসতে হলে খবর আছে বলে হুমকি দিয়ে চলে যান।
দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে আবারও অফিসে এসে হিসাবরক্ষক ওয়াজেদ আলীকে গালাগাল করতে থাকেন এবং অফিসে বিশৃঙ্খলা করতে থাকেন। এ সময় বাধা দিলে রাজ্জাকুল হায়দারকে শার্টের কলার ধরে ধাক্কাধাক্কি করেন ও কিল-ঘুষি মারেন শাহ জামাল ওরফে শাজাহান। তাকে টানাহেঁচরা করে কক্ষ থেকে বের করে বারান্দায় নিয়ে আসেন। এ সময় তার অণ্ডকোষে লাথি মারা হয়।
এ ছাড়া দেলোয়ার হোসেন দিলু হিসাবরক্ষক ওয়াজেদ আলীকে আক্রমণ করে ফাইলপত্র ছুড়ে ফেলেন। কিল-ঘুষি চড়-থাপ্পড় মারেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। এ ঘটনার রাতেই থানায় হিসাব সহকারী রাজ্জাকুল হায়দার বাদী গাবতলী মডেল থানায় অভিযোগ দেন।
মামলা হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গাবতলী মডেল থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ। তিনি জানান, মামলা দায়েরের পর তা রেকর্ড হরা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিলু বলেন, আমরা ঠিকাদারি কাজ করেছি। জামানত উত্তোলনের সময় পেরিয়ে গেলেও টাকা ফেতর পাইনি। জামানত তুলতে গেলে হিসাবরক্ষক ওয়াজেদ আলী ও রাজ্জাকুল হায়দার আমাদের তালবাহানা করে হয়রানি করে চাঁদা টাকা দাবি করেন। মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
মন্তব্য করুন