গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০২৪, ০৩:০৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পদ্মায় আটকা পড়েছে ১৮ মালবাহী জাহাজ

পদ্মা নদীতে নোঙর করে রাখা হয়েছে মালবাহী জাহাজ। ছবি : কালবেলা
পদ্মা নদীতে নোঙর করে রাখা হয়েছে মালবাহী জাহাজ। ছবি : কালবেলা

সারা দেশে পণ্য পরিবহনে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া হয়ে পাবনার নগরবাড়ি সিরাজগঞ্জের বাঘা বাড়ি পর্যন্ত নৌপথ গুরুত্বপূর্ণ। পণ্যবাহী শত শত জাহাজ নিয়মিত এই নৌপথে চলাচল করে। কিন্তু পদ্মা নদীতে অসংখ্য ডুবোচর সৃষ্টি হয়েছে। নদীর চ্যানেলে পানি কমে যাওয়ায় সেখানে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। চট্টগ্রাম ও মোংলা থেকে ছেড়ে আসা নগরবাড়ি ও বাঘাবাড়ি বন্দরগামী সার, গম, কয়লা, ক্লিংকার, কাদামাটিসহ বিভিন্ন পণ্যবোঝাই অন্তত ১৮টি মালবাহী জাহাজ আটকা পড়ে আছে দৌলতদিয়ার পদ্মায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, দৌলতদিয়া ৬ নম্বর ফেরি ঘাটের পাশে পদ্মা নদীতে নোঙর করে আছে এমভি গোলাম-৬, মেসার্স এম ভি এইচ নেভিগেশন, এমভি নিজামপুর, এমভি মেহেদী হাসান, এমভি রাহেম পাটোয়ারী-১, এমভি পোটন-৩, এমভি আজোয়া, এমভি ফয়সাল-৪, এমভি নাফসান-৪, প্রিন্স অফ ঈশান, এমভি হোসনেয়ারা-২, এমভি গোলাপ-২, প্রিন্স অফ ইমন দোহার ৪। এ সব কোস্টার জাহাজ থেকে শতাধিক শ্রমিকরা মালামাল নামিয়ে বাল্কহেডে বোঝাই করছেন।

আটকা পড়া জাহাজ গোলাম-৬-এর মাস্টার মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, পদ্মা ও যমুনা নদীর পানি কমে দৌলতদিয়া নগরবাড়ি বাঘাবাড়ী নৌপথে অসংখ্য ডুবোচর ও নাব্য সংকট দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে নৌ চ্যানেলের মোল্লার ট্যাগ, লতিফপুর পেঁচা খোলার চর, নাকালিয়া এলাকা সবচেয়ে বেশি নাব্য সংকট দেখা দিয়েছে। প্রয়োজনীয় পানির গভীরতা না থাকায় সেখানে ১০ থেকে ১৩ ড্রাফটের মালবোঝাই কোস্টার জাহাজ চলাচল করতে পারছে না। এ কারণে জাহাজের সক্ষমতা যা আছে তার চেয়ে কম মালামাল নিয়ে জাহাজ আসছে। নদীর নাব্য সংকটে অনেক পথ ঘুরে আসতে হয়; সে কারণে তেল খরচ অনেক বেশি লাগছে।

আরেক কোস্টার জাহাজের মাস্টার মো. হিটলার বলেন, নদীর নাব্য সংকটের কারণে জাহাজের যে ধারণক্ষমতা আছে সে অনুযায়ী মালামাল আনতে পারছি না। জাহাজের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে মালামাল কম আনা হচ্ছে। কারণ নদীতে ঠেকে যায় জাহাজ।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম ও মোংলা থেকে ছেড়ে যাওয়ার ১৮ দিনের মধ্যে লোড আনলোড কমপ্লিট করতে হবে। তা না হলে প্রতিদিনের জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

তবে এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিসি আরিচা অঞ্চলের ডেজিং বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.হাসান আহমেদ বলেন, নদীতে কোনো নাব্য সংকট নেই। ফেরি চলাচলে সাড়ে ৬ ফিট থেকে ৮ ফিট পানি হলেই ফেরি স্বভাবিকভাবে চলাচল করতে পারে। কিন্তু কোস্টার জাহাজ কত ফিট পানিতে চলাচল করতে পারে সেটা আমার জানা নেই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বায়ুদূষণের শীর্ষে জাকার্তা, ঢাকার খবর কী?

টিভিতে আজকের খেলা

চক্ষু বিশেষজ্ঞ বিভাগে নিয়োগ দিচ্ছে রেড ক্রিসেন্ট

দিনাজপুরে প্রজন্ম লীগ নেতা তৈবুর গ্রেপ্তার

ইতালি যাওয়ার এক দিন পরই বাংলাদেশির মৃত্যু

আখেরি চাহার সোম্বা আজ, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি

সেলস ম্যানেজার পদে স্কয়ার গ্রুপে চাকরির সুযোগ

ফজর নামাজের সময় মসজিদে নারকীয় তাণ্ডব, নিহত ২৭

দুপুরের মধ্যে ৭ জেলায় হতে পারে বজ্রবৃষ্টি

২০ আগস্ট : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১০

ঢাকার যেসব এলাকায় আজ মার্কেট বন্ধ 

১১

হাসপাতালে ভর্তি মির্জা ফখরুল

১২

২০ আগস্ট : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৩

সৌদিগামী যাত্রীদের জন্য সুখবর

১৪

এমবাপ্পের একমাত্র গোলে রিয়ালের কষ্টার্জিত জয়

১৫

ম্যানসিটি ছাড়ছেন আর্জেন্টিনার ‘নতুন মেসি’

১৬

‘৫১ লাখ টাকার স্টেডিয়াম ১৪ কোটিতে করার অনুমোদন’, কী ব্যাখ্যা দিলেন সচিব

১৭

জনপ্রিয় ব্রিটিশ পত্রিকায় বাংলাদেশ নারী দলের প্রশংসা

১৮

ইউআরপি ও ডিএলআর মডিউল প্রস্তুত / মালয়েশিয়ায় শ্রমিক যাবে শূন্য অভিবাসন ব্যয়ে

১৯

রাশিয়া শক্তিশালী, এটা মেনে নিতেই হবে : ট্রাম্প

২০
X