সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় চিনি আনতে গিয়ে তিন বাংলাদেশি শ্রমিককে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সদস্যরা।
শনিবার (৮ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে তাদের আটক করা করা হয়।
বিএসএফের হাতে আটকরা হচ্ছে, কোম্পানীগঞ্জের মাঝেরগাঁও গ্রামের মৃত মঙ্গাই মিয়ার পুত্র জহির মিয়া ( ৩৪), মাঝের গাঁও বাগানবস্তির আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র মাসুম মিয়া (২৮) এবং একই এলাকার আজিজুল হকের ছেলে আল আমিন (৩০)।
সূত্রে জানা যায়, তৈয়ব আলী ও হেলাল নামে বিজিবির কথিত দুই লাইনম্যানের নির্দেশে ১২৫৫ পিলারের কাছ দিয়ে ভারতীয় চিনি আনতে যায় ২০/৩০ জন শ্রমিক। ভারতীয় চিনি আনার পেছনে বিজিবি কথিত লাইনম্যান তোফায়েলেরও সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে সেই সূত্র জানায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চিনি চোরাচালানের এক সদস্য জানান, বিকেলে ২০/৩০ জন শ্রমিকের সঙ্গে ১২৫৫ পিলার দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে সে নিজেও। সে গ্রুপে আটক তিন ব্যক্তিও ছিল। সে সময় ভারতীয় খাসিয়ারা ধাওয়া করলে সবাই পালিয়ে যায়। এ সময় খাসিয়াদের কাছে মাসুম, জহির ও আল আমিন আটক হয়। আটক করার পর খাসিয়ারা তাদেরকে মারধর শুরু করলে আটকদের আর্তচিৎকারে বিএসএফ তাদের উদ্ধার করে নিজেদের জিম্মায় নেয়। বর্তমানে তারা বিএসএফের জিম্মায় রয়েছে।
আটক আল আমিনের চাচা সামসুল হক তিনি জানান, শুনেছি আল আমিন ভারতে গিয়ে বিএসএফের হাতে আটক রয়েছে। সেখানকার দালালের মাধ্যমে তাদের ছাড়ানোর চেষ্টা করেও ছাড়ানো যায়নি। তাদের আদালতে সোপর্দ করবে বলে জানান তিনি।
চিনি চোরাচালানের সাথে সংশ্লিষ্ট ও বিজিবির কথিত লাইনম্যান হিসেবে পরিচিত হেলালে ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে ফোন দিলে বন্ধ পাওয়া যায়।
এছাড়া বিজিবির আরেক লাইনম্যান খ্যাত তৈয়ব আলীর ব্যক্তিগত নম্বরে ফোন দিলে তিনি জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
উৎমা বিওপি ক্যাম্প কমান্ডারের নম্বরে বারবার ফোন দিলেও ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) হিল্লোল রায় বলেন, শুনেছি তিনজনকে বিএসএফ আটক করেছে।
সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ও অবস) শেখ সেলিম রাত ১০টায় তিনি বলেন, আমি বিষয়টি জানি না। জেনে জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন