নেত্রকোনার দুর্গাপুরে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার বিরিশিরি ইউনিয়নের শিবগঞ্জ ফেরিঘাটে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় একজনকে পুলিশ আটক করেছে।
নিহত ওই ব্যক্তির নাম মজিবর রহমান (৫১) ওরফে দা মজিবর। তিনি দুর্গাপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য ও বিরিশিরি ইউনিয়নের নলজোরা গ্রামের বাসিন্দা মৃত সুরুজ আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, মারামারি, সীমান্তে পাচার ব্যবসাসহ প্রায় ১২টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মজিবর রহমানের সঙ্গে কুল্লাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. আবদুল আওয়াল এবং তার ভাই মো. শামিম মিয়া (৩৩) ওরফে শুটার শামিম, মো. বদিউজ্জামানদের (৪২) মধ্যে সীমান্তে চোরাচালান ব্যবসা ও আধিপত্যসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে সকালে সুসং সরকারি মহাবিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মজিবুর রহমানের ভাতিজার সঙ্গে কুল্লাগড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়ালের ছেলের ঝগড়া হয়। এর রেশ ধরেই দুপুরে দক্ষিণ ভবানীপুর এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়।
এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় মজিবর, তার ছেলে কুল্লাগড়া ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক মো. রাজন, মো. সাব্বির, স্বজন ফারুক মিয়া, নাঈম মিয়াসহ অন্তত ছয়জন আহত হন। গুরুতর আহত মজিবর রহমানকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মজিবরের ছেলে আহত মো. সাব্বির দাবি করে বলেন, শুটার শামিম তার দলবল নিয়ে এসে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে। আব্বাকে কোপানোসহ গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. রকিবুল হাসান জানান, আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসলে মজিবুর রহমান নামের ব্যক্তিকে আমরা মৃত অবস্থায় পেয়েছি। বাকি আহতদের মধ্যে দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় ও চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ওসি (তদন্ত) নূরুল আলম জানান, মারামারির ঘটনায় একজন নিহত হয়েছে। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন