মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ময়মনসিংহ ব্যুরো
প্রকাশ : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:২৯ এএম
আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৪১ এএম
অনলাইন সংস্করণ

অটোচালক হত্যার রোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন আসামিরা

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়। ছবি : কালবেলা
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়। ছবি : কালবেলা

ময়মনসিংহে চালককে হাত-পা ও মুখ বেঁধে হত্যার পর অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা হত্যার দায় স্বীকার করে ঘটনার রোমহর্ষক বর্ণনা দেন। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ নগরীর জয়নুল আবেদিন পার্কের পাশে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড় থেকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় হাসেম মিয়া (২৯) নামের অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা নিশ্চিত করে অভিযুক্তরা। হাসেম সদর উপজেলার দাপুনিয়া কলাপাড়া গ্রামের মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই নিলু মিয়া বাদী হয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করেন।

কোতোয়ালি ও গৌরীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জেলা পুলিশের গোয়েন্দ শাখা (ডিবি) হত্যাকাণ্ডে জড়িত ফুলপুরের বাতিকুড়া গ্রামের মো. আলমগীর (২০), তারাকান্দার পূর্ব কামারিয়ার মো. রাকিবুল হাসান তপু (৩০), একই উপজেলার হরিপুর গ্রামের মো. রাকিব হাসান ওরফে রাকিবুল ইসলাম (২১), টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার রামপুর গ্রামের মো. আরাফাত হোসেন বাবু (২৭) গ্রেপ্তার করে।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, ৮ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে আলমগীর, রাকিবুল হাসান তপু, রাকিবুল, আরাফাত হোসেন বাবুসহ পাঁচজন স্মৃতিসৌধের মাঠে বসে অটো ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন। সেই পরিকল্পনা মোতাবেক রাত ১২টার দিকে হাসেমের অটোরিকশা ভাড়া করে সার্কিট হাউস মাঠে নিয়ে যান তারা। তারপর মাঠে দাঁড়িয়ে চালক হাসেমের সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে তারা এলোপাথাড়ি মারধর করে বেড়িবাঁধের নিচে নদীর পাড়ে নিয়ে যান। সেখানে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ছুরি দিয়ে বুকে ও পিঠে আঘাত করে হত্যা নিশ্চিত করেন।

তারপর লাশ মাটিতে ফেলে অটোরিকশাটি নিয়ে শম্ভুগঞ্জ এলাকায় ৩৪ হাজার টাকায় বিক্রি করে নিজেদের মধ্যে টাকা ভাগাভাগি করে নেন। হত্যার পর লুট করে নেওয়া অটোরিকশাটি কেনার সূত্র ধরে নগরীর শম্ভুগঞ্জ এলাকার ফরহাদ (৩১), সুমন শেখ (৩৫) এবং আলমকে (৪০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশ আরও জানায়, আলমগীরের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা, তপুর বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা, রাকিব হাসানের বিরুদ্ধে একটি চুরি মামলা, আরাফাত হোসেন বাবুর বিরুদ্দে একটি হত্যা ও চুরি মামলা রয়েছে।

ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ বলেন, হত্যায় জড়িতদের সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হত্যা ও মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত। বিকেলেই তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চলন্ত ট্রেনে পপকর্ন বিক্রেতাকে হত্যা

আবাসিক হোটেলে অনৈতিক কর্মকাণ্ড, গ্রেপ্তার ২৪

বস্তিবাসীর জন্য ‘ফ্যামিলি কার্ড’ ও স্থায়ী পুনর্বাসনের আশ্বাস আমিনুল হকের

দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে: সাকি

তিন মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সেক্রেটারি গ্রেপ্তার

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতল ভারত

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতি হয়েছে : ডা. শাহাবুদ্দিন

‘যারা কাসেমীর ফাঁদে পড়েছ, আমার সঙ্গে যোগাযোগ করো’

ত্রিদেশীয় সিরিজের জন্য শক্তিশালী দল ঘোষণা বাংলাদেশের

বৃহত্তর নোয়াখালী নারী কল্যাণ সংঘ ইতালির আত্মপ্রকাশ

১০

শাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের

১১

‘হাসিনার কালো আইন বাতিল করুন, না হয় নিবন্ধন দিন’

১২

বাড়ির পাশের পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

১৩

আহত শিশুকে নেওয়া হলো হাসপাতালে, সড়কে পড়ে ছিল বিচ্ছিন্ন হাত

১৪

বিএনপির দুই নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১৫

যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডসের ২ সদস্য বরখাস্ত

১৬

দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে প্রাণ গেল ২ বন্ধুর

১৭

লাভের আশায় কৃষকের আগাম ফুলকপি চাষ

১৮

বাউল শিল্পীদের মারধরের ঘটনায় মামলা

১৯

না ফেরার দেশে মেসিকে আর্জেন্টিনা দলে আনার মূল কারিগর

২০
X