কক্সবাজারের পেকুয়ায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে কোমরে রশি বেঁধে আদালতে নেওয়ার ঘটনায় পেকুয়া থানার ওসিসহ তিনজনকে দুই কর্মদিবসের মধ্যে আইনানুগ ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ হোসাইন এ নির্দেশ দেন।
যাদের থেকে ব্যাখ্যা চেয়েছেন তারা হলেন ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াছ, কর্তব্যরত কর্মকর্তা এবং পেকুয়া থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রইস উদ্দিন। তাদের দুই কর্মদিবসের মধ্যে আইনানুগ ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ওই ঘটনায় সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) কালবেলা অনলাইন সংস্করণে ‘বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকে কোমরে রশি বেঁধে আদালতে হাজির’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের নাম হামিম মো. ফাহিম। তিনি চট্টগ্রামের সাউদার্ন ইউনিভার্সিটিতে এলএলবির শিক্ষার্থী। তিনি পেকুয়ায় একটি কোচিং সেন্টার পরিচালনা করেন এবং শিক্ষকতা করেন।
উল্লেখ যে গত শনিবার রাতে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের একটি মারামারি মামলার পরোয়ানায় ফাহিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর গত রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) পেকুয়া থানা-পুলিশের একটি দল কোমরে রশি বেঁধে ও হাতকড়া পরিয়ে তাকে আদালতে হাজির করে। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে পেকুয়া থানা ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াছের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো চিঠি পায় নাই বলে জানান।
মন্তব্য করুন