সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার চলতি দায়িত্বে থাকা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সন্ধ্যা রানী সাহার বিরুদ্ধে শিক্ষকদের ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ, ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ ও ভিডিও ধারণ করে মানসিকভাবে নির্যাতনসহ ১৬টি অভিযোগের শুনানি হয়েছে।
রোববার (৯ জুলাই) সকাল ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কার্যালয়ে এ শুনানি করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের শিক্ষা কর্মকর্তা (প্রশাসন) মুজিব আলম।
শুনানি শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, সন্ধ্যা রানীর সাহার বিরুদ্ধে উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ইসরাত জাহান ওয়ারেছী, কে এম শরিফুল ও মো. মাসুদ রানাসহ ১৫ জন শিক্ষক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে রোববার শুনানি করা হয়েছে।
শুনানিতে প্রায় ৩০ জন সহকারী ও প্রধান শিক্ষকদের লিখিতভাবে বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। লিখিত বক্তব্যগুলো যাচাই-বাছাই শেষ করে আসল ঘটনা জানা যাবে এবং আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যারানী সাহা উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকাদের রোজা, নামাজ নিয়ে কটাক্ষ করা, হিজাব খুলতে বাধ্য করা, অসম্মানজনক ও তিরস্কারমূলক কথা বলা ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের হেয় প্রতিপন্নসহ অপমান-অপদস্থ করতেন।
সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা ছুটি নিতে গেলে নানা ধরনের কাজ চাপিয়ে দেওয়া এবং স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতেন না।
সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কক্ষের ভিডিও ধারণ করে আতঙ্কিত রাখার মাধ্যমে নির্যাতন করতেন।
এ ছাড়া তিনি প্রতি সপ্তাহে বুধবার গাজী চলে যেতেন এবং বিশেষ কোনো প্রোগ্রাম ছাড়া সোমবারের আগে অফিস আসতেন না বলেও অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কামারখন্দ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) সন্ধ্যা রানী সাহা বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।
মন্তব্য করুন