নারায়ণগঞ্জে রানা হোসেন হত্যার প্রধান আসামি সাব্বির হোসেনকে (২০) ঢাকার শ্যামপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীনগরে র্যাব-১১ এর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাব্বির অভিযোগ স্বীকার করে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন।
র্যাব-১১-এর অধিনায়ক ল্যাফটেনেন্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা জানান, গত বছরের ৯ ডিসেম্বর ফতুল্লা মডেল থানাধীন সিএসআরএম ডেইরি ফার্মের সামনে রাস্তা থেকে সাদা প্লাস্টিকের বস্তায় রানার মরদেহ পাওয়া যায়। তার মরদেহ রশি দিয়ে হাত, পা বাঁধা ও কম্বল দিয়ে মোড়ানো অর্ধগলিত অবস্থায় ছিল।
এ ঘটনায় ১০ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে।
অধিনায়ক জানান, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি র্যাব-১১ ও র্যাব-১০ যৌথ অভিযান চালিয়ে সাব্বিরকে গ্রেপ্তার করে।
আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সাব্বির এবং ভিকটিম রানা পূর্ব পরিচিত এবং একই এলাকার বাসিন্দা। সাব্বির ও তার ভাই সাজ্জাদ এবং ভিকটিম রানার সঙ্গে টাকা-পয়সা নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। এটি সমাধানের জন্য তারা সাব্বিরের বাসায় বৈঠক করেন। টাকা লেনদেনসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সাব্বির এবং তার ভাই সাজ্জাদ সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে ভিকটিম রানার বুকে আঘাত করলে তিনি মাটিতে পড়ে যান।
পরে আসামিরা রানার মৃত্যু নিশ্চিত করতে আরও একাধিক বার ছুরিকাঘাত করেন। মৃত্যু নিশ্চিত হলে আসামি সাব্বির এবং তার ভাই সাজ্জাদ ভিকটিম রানার হাত, পা রশি দিয়ে বেঁধে কম্বল মুড়িয়ে বস্তাবন্দি করে ২-৩ দিন রুমে লুকিয়ে রাখেন। পরে ৯ ডিসেম্বর ভোরে বস্তাবন্দি মরদেহ রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যান।
আসামি সাব্বিরের বিরুদ্ধে কদমতলী থানায় একটি ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে বলে জানায় র্যাব।
মন্তব্য করুন