কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) উপনির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরপরই প্রার্থীরা প্রচার শুরু করেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেন। কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. তাহসিন বাহার সূচনা বাস প্রতীক, মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য নূর উর রহমান মাহমুদ তামিম হাতি প্রতীক, বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু টেবিল ঘড়ি এবং বহিষ্কৃত আরেক বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার পেয়েছেন ঘোড়া প্রতীক।
সকাল সাড়ে ১০টার পর নগরীর পুলিশ লাইন এলাকা থেকে প্রচার শুরু করেন ডা. তাহসিন বাহার। নগরীর ১০ ওয়ার্ডের পুলিশ লাইন-কান্দিরপাড় সড়কে ঝাউতলা, বাদুরতলা এলাকায় প্রচার করেন। পরে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে যান তিনি।
প্রচারকালে ডা. তাহসিন বাহার সূচনা বলেন, ‘আমরা প্রতীক পেয়েছি বাস। আমরা বিশ্বাস করি, এই বাস কুমিল্লার উন্নয়নের বাস। আমি তাহসিন বাহার এর ড্রাইভার। কুমিল্লাবাসী এ উন্নয়নের বাসের যাত্রী। কুমিল্লাবাসীর কাছে বলব, আমি কুমিল্লার মেয়ে। কুমিল্লার উন্নয়নের নতুন অধ্যায় সূচনা করতে চাচ্ছি। কুমিল্লার উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সব সময় কাজ করে গেছি। এ ছাড়া সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমেও আমার সারা কুমিল্লায় বিচরণ রয়েছে। আমার বাবার একটা স্লোগান ছিল, কুমিল্লা এগোলেই, এগোবে বাংলাদেশ। এ স্লোগান এখন কুমিল্লার মানুষের স্লোগানে পরিণত হয়েছে।’
এদিকে সকাল সাড়ে ৯টায় ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বের হয়ে প্রচার শুরু করেন। তিনি নেতাকর্মীদের নিয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আসেন।
এরপর নির্বাচন কার্যালয় থেকে বের হন হাতি প্রতীকের প্রার্থী নূর-উর রহমান মাহমুদ তানিম। তিনি নগরীর ফৌজদারি মোড়ে এসে নেতাকর্মীদের নিয়ে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করেন এবং প্রচার চালান। এরপর মিছিল নিয়ে আসেন সাক্কুর সমর্থকরা।
প্রতীক বরাদ্দ শেষে প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন, ‘যারা সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্বে আছেন, যারা নির্বাচনে আসতে পারেন না, তারা যেন প্রচারে না আসেন। আমি নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি জানিয়েছি।’
নূর-উর রহমান মাহমুদ তানিম বলেন, ‘আমরা চাই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। নির্বাচন কমিশন সব সময় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড রাখবে বলে বিশ্বাস করি। একটা মানুষ তখনই অনিয়ম করে যখন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না। আমরা মনে করি, নির্বাচন কমিশন অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে। না হলে নির্বাচন কমিশন আস্থা হারাবে।’
কুসিক নির্বাচনে মোট ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের ৬৪০টি কক্ষে ভোট নেওয়া হবে। নির্বাচন ৯ মার্চ ইভিএমে অনুষ্ঠিত হবে। এবার ২ লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮ জন ভোটার রয়েছেন।
মন্তব্য করুন