মুহাম্মদ আশরাফুল হক ভূঞা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:৪৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নেত্রকোনায় খিরার বাম্পার ফলন, দামে খুশি কৃষক

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় খিরা চাষে বাম্পার ফলন। ছবি : কালবেলা
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় খিরা চাষে বাম্পার ফলন। ছবি : কালবেলা

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় খিরার বাম্পার ফলন হয়েছে। দাম ভালো পাওয়ায় খুশি এখানকার খিরা চাষিরা। খিরা চাষে তুলনামূলক কম খরচে লাভের পরিমাণ বেশি হওয়ায় এ বছর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে খিরা চাষ বেড়েছে। নতুন করে খিরা চাষে যুক্ত হয়েছেন অনেক কৃষক।

কেন্দুয়া উপজেলার মোজাফরপুর গ্রামের মাতাব উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তার জমিতেও খিরার বাম্পার ফলন হয়েছে। চারিতলা এলাকার কাশেম মিল্কি, আব্দুল হকসহ অপর চাষিরাও খিরা চাষে মনোযোগী হয়েছেন। কেননা, বাজারে খিরার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। পাইকাররা আগ্রহের সঙ্গে খিরা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। মোজাফরপুরের মতো উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে হয়েছে খিরার চাষ। এর মধ্যে উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নের জালিয়ার হাওরে খিরার ফলন হয় সবচেয়ে বেশি। এই এলাকায় তৃপ্তি, সুফলা, শতাব্দী-১ ও শতাব্দী-২ ইত্যাদি জাতের খিরার ফলন বেশি হয়।

চাষি আইনাল মিয়া জানান, এবার খিরার বাম্পার ফলন হয়েছে। দাম গত বছরের চেয়ে বেশি। বর্তমানে প্রতি কেজি খিরার পাইকারি দাম উঠেছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা এবং প্রতি মন ১২শ’ থেকে ১৪শ’ টাকা। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি খিরা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। প্রতি সপ্তাহে তিনি পাঁচ হাজার থেকে সাত হাজার টাকার খিরা বিক্রি করছেন।

অপর চাষি আতাব উদ্দিন জানান, কয়েক বছর আগে পরিবারের অভাব দেখা দিলে স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ১০ শতাংশ জমিতে খিরা চাষ করেন তিনি। এ বছর খিরা চাষ করেছেন ২০ শতাংশ জমিতে। চাষে খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকার মতো। ক্ষেত থেকে খিরা তোলা শুরু হয়েছে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে। এপ্রিল মাস পর্যন্ত চলবে খিরা তোলা। প্রতি মাসে তিন থেকে চারবার খিরা তোলেন তিনি। তবে দাম এখন একটু বেশি হলেও মার্চের পর দাম পড়ে যায়। তবে সব মিলিয়ে খরচ বাদ দিয়ে এ বছর খিরা থেকে আয় গত বছরের চেয়ে বেশি হবে।

খিরা ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের বিভিন্ন এলাকায় এখন হাইব্রিড খিরা পাওয়া গেলেও কেন্দুয়ার জালিয়ার হাওরের জমিতে দেশিও খিরার ভালো ফলন হয়েছে। এখানকার খিরার স্বাদ অন্য রকম। তাই বাজারে এর চাহিদা বেশি।

মোজাফরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির আলম ভূঞা বলেন, উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নে খিরা চাষ হলেও মোজাফরপুর ইউনিয়নে খিরার ফলন হয় সবচেয়ে বেশি। এ বছর খিরার ফলন এবং দাম বেশি হওয়ায় খুশি কৃষকরা।

কেন্দুয়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শারমিন সুলতানা বলেন, এবার ৮৫ হেক্টর জমিতে খিরা চাষ হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে বেশি। গত বছরের চেয়ে ফলন ও দাম বেশি হওয়ায় কৃষকের লাভ হয়েছে। স্থানীয় চাষিদের মধ্যে খিরা চাষের আগ্রহ বাড়ছে বলেও জানান তিনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সৈকতে ফের ভেসে এলো মৃত ইরাবতী ডলফিন

ইঞ্জিন সংকটে ‘নাজুক’ রেল অপারেশন

স্পেনে রিয়ালের আর্জেন্টাইন তারকাকে নিয়ে অদ্ভুত বিতর্ক

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব হলেন আবু তাহের

মানবিক ড্রাইভার গড়তে নারায়ণগঞ্জে ডিসির যুগান্তকারী উদ্যোগ

গৃহকর্মীদের অধিকার সুরক্ষায় জাতীয় পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

পিএসসি সদস্য হলেন অধ্যাপক শাহীন চৌধুরী

রিয়ালের হয়ে ইতিহাস গড়লেন আর্জেন্টিনার ‘মাস্তান’

দাম্পত্য কলহ এড়ানোর সহজ ৫ উপায়

‘গণতন্ত্রের জন্য আরও কঠিন পথ পাড়ি দিতে হতে পারে’

১০

আর্থিক খাত নিয়ে খারাপ খবর দিলেন গভর্নর

১১

পৌরসভার ফাইল নিয়ে দুই কর্মকর্তার হাতাহাতি

১২

কর্মস্থলে ‘অনুপস্থিত’, এবার পুলিশের ২ এসপি বরখাস্ত

১৩

এশিয়া কাপ দল নিয়ে তোপের মুখে বিসিসিআই

১৪

নারী-শিশুসহ ছয় ভারতীয় নাগরিক আটক

১৫

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য সব প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার : উপদেষ্টা আসিফ

১৬

পিয়াইন নদীতে অবাধে বালু লুট, হুমকিতে বসতবাড়ি 

১৭

সোনালী ও জনতা ব্যাংকের অফিসার পদের ফল প্রকাশ

১৮

নরসিংদীতে একজনকে কুপিয়ে হত্যা

১৯

হোয়াটসঅ্যাপে নতুন কৌশলে অর্থ চুরি, যেভাবে নিরাপদ থাকবেন

২০
X