রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:৩৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চাঁদা নেওয়া সেই বন কর্মকর্তাসহ দুই কর্মচারী প্রত্যাহার

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর ও রামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের পদ্দা বাজারে চেকিংয়ের নামে ট্রাক থেকে চাঁদা আদায়ের চিত্র। ছবি : কালবেলা
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর ও রামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের পদ্দা বাজারে চেকিংয়ের নামে ট্রাক থেকে চাঁদা আদায়ের চিত্র। ছবি : কালবেলা

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশের পর আলোচিত সেই লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা বন কর্মকর্তাসহ দুই কর্মচারীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে লক্ষ্মীপুর জেলা বন কর্মকর্তা এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তাদের তিনজনের বিরুদ্ধে মহাসড়কে পরিবহনে চাঁদাবাজির ঘটনা তদন্তে সত্যতা পাওয়া যায়। এতে বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নোয়াখালী বিভাগীয় কার্যালয়ে তাদের প্রত্যাহার করা হয়। রোববার থেকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রামগতি উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. বাসেদ হোসেনকে।

নোয়াখালী কার্যালয়ে প্রত্যাহারকৃতরা হলেন- রামগঞ্জ উপজেলা বন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, কর্মচারী সাইফুল ইসলাম (নৌকা চালক) ও মো. রুহুল আমিন (বনপ্রহরী)।

উল্লেখ্য, ২১ ফেব্রুয়ারি ‘মহাসড়কে বন কর্মকর্তার চাঁদাবাজি’ শিরোনামে কালবেলায় সংবাদটি প্রকাশিত হলে তোলপাড় শুরু হয়। এতে টনক নড়ে জেলা প্রশাসন ও বন অধিদপ্তরের। সংবাদ প্রকাশের পরই অধিদপ্তর দুই কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে জেলা বন কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেন।

প্রসঙ্গত, গত তিন মাস ধরে রামগঞ্জ উপজেলা বন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান তার কর্মচারী সাইফুল ইসলামকে দিয়ে রায়পুর-রামগঞ্জ মহাসড়কের পদ্দা বাজারে প্রতিদিন ২১-২৫টি গাছ বহনকারী ট্রলি ও ট্রাক থেকে ৫০০-৭০০ করে টাকা তুলতেন। এ নিয়ে রায়পুর ও রামগঞ্জের করাতকল মালিক ও লাকড়ি ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

এ ছাড়াও লাইসেন্স না করায় সেই বন কর্মকর্তা হুমকি দিয়ে রামগঞ্জ শহরের সড়কের পাশে লাকড়ি ব্যবসায়ী মনিরের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা, তার পাশের লাকড়ি ব্যবসায়ী জসিমের কাছ থেকে ৮ হাজার টাকা, কাটাখালির করাতকল মালিক থেকে ২০ হাজার টাকা, দিঘিরপাড়ের করাতকল মালিক সেলিম থেকে ১০ হাজার টাকা আদায় করেন।

লক্ষ্মীপুর জেলা বন কর্মকর্তা ফিরোজ আলম জানান, রামগঞ্জ উপজেলা বন কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে সড়কে চাঁদাবাজির যুগান্তরের রিপোর্টি সত্য পেয়েছি। বন কর্মকর্তাসহ দুই কর্মচারীকে নোয়াখালী বিভাগীয় কার্যালয়ে প্রতাহার করা হয়েছে। তদন্ত চলমান রয়েছে। অধিদপ্তর থেকে আরও ব্যবস্থা নিবে। আপাতত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন রামগতি উপজেলা কর্মকর্তা বাসেদ। কালবেলা ও তাদের প্রতিনিধি মাজেদকে ধন্যবাদ জানাই।

উল্লেখ্য, বন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান প্রায় তিন মাস আগে রাঙ্গামাটি জেলা থেকে বদলি হয়ে রামগঞ্জ উপজেলায় যোগদান করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বাংলাদেশে তিন বছরে দারিদ্র্যের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৮ শতাংশে

রুট ১৩ হাজার রান ছুঁতেই মুখ খুললেন শচীন

‘উপদেষ্টা মাহফুজের ওপর হামলা হয়নি, কনস্যুলেট অফিস ভাঙচুর হয়েছে'

১৫০ টাকায় দেখা যাবে বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস টি-টোয়েন্টি ম্যাচ

সাব্বিরকে পাঁচ বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ বিসিবির আকুর

জিয়ার সমাধিতে ডা. সাবরিনার শ্রদ্ধা, যুবদল সভাপতির ক্ষোভ

শাহীনুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিতর্ক, অর্থপাচার বিরোধী অভিযানে চাপ

অভিনেত্রী জাহানারা ভূঁইয়া মারা গেছেন

ঢাকা শিশু হাসপাতাল শাখা ড্যাবের নতুন দায়িত্বে ডা. ফারুক

এনসিপির আরও চার নেতার পদত্যাগ 

১০

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিসের শ্বশুর লুৎফর রহমান

১১

ডাকসু নির্বাচনে প্রচারণার বিধিমালা প্রকাশ

১২

হাসনাতকে ‌‘ফকিন্নির বাচ্চা’ বললেন রুমিন ফারহানা

১৩

বিজিবির কাছে ৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ

১৪

চুরির অভিযোগ, গণপিটুনিতে যুবক নিহত

১৫

সংবিধানের মূলনীতি থেকে আমরা সরে যাচ্ছি : ড. কামাল হোসেন

১৬

রাকসু নির্বাচনে ভোটাধিকারের দাবিতে নবীন শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

১৭

চট্টগ্রামের মিষ্টি কারখানায় স্বাস্থ্যঝুঁকি, মধুবন ফুডকে জরিমানা

১৮

আশুলিয়ায় সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

১৯

জাবির সাবেক সহকারী প্রক্টর জনি রিমান্ডে

২০
X