সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:০৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

২ সন্তানসহ মাকে হত্যা, সৎ মামার মৃত্যুদণ্ড

আসামি
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। ছবি : কালবেলা

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে দুই শিশুসন্তানসহ মাকে হত্যার দায়ে সৎ মামার মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফজলে-খোদা মো. নাজির এ দণ্ডাদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আইয়ুব আলী ওরফে সাগর (৩১) উল্লাপাড়া উপজেলার নন্দিগাঁতী গ্রামের মৃত মকছেদ মোল্লার ছেলে। আদালতের স্টেনোগ্রাফার মো. রাশেদুল ইসলাম কালবেলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০২২ সালের ১ অক্টোবর বেলকুচি উপজেলার মবুপুর গ্রামের নিজ ঘর থেকে সুলতান আলীর স্ত্রী রওশন আরা খাতুন (৩০), তার শিশু ছেলে জিহাদ হোসেন (১০) ও মাহিনের (৩) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রওশন আরার ভাই নুরুজ্জামাল বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং একমাত্র আসামি আইয়ুব আলী সাগরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আইয়ুব আলী।

জবানবন্দিতে তিনি বলেন, ভিকটিম রওশন তার সৎ ভাগনি। তাঁতের পেশার আয় দিয়ে সংসার না চলায় দেড় বছরে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নেন আইয়ুব আলী। কিন্তু ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন। এ নিয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে তার সৎ ভাগনি রওশন আরার দ্বারস্থ হন। ২০২২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তিনি রওশন আরার কাছে এসে টাকা ধার চান। কিন্তু রওশন আরা বলেন, তার কাছে টাকা নেই। আসামি আইয়ুব আলী রওশন আরার ঘরের মধ্যে থাকা চারটি ট্রাঙ্ক দেখে ধারণা করেন এর ভেতরে টাকা আছে। তাই তিনি চুরির সিদ্ধান্ত নেন।

দুদিন পর ২৮ সেপ্টেম্বর আবারও তিনি সৎ ভাগনি রওশনের বাড়িতে আসেন। রাতে তাদের বাড়িতে থেকেও যান। সবাই এক সঙ্গে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ার পর আইয়ুব আলী চাবি নিয়ে ট্রাঙ্কের বাক্স খুলে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে রওশন নড়চড়া করলে, আইয়ুব আলী ভাবেন হয়তো চুরি দেখে ফেলেছেন তিনি। তখনই পাথরের শীল দিয়ে ভাগনির বুকে সজোরে আঘাত ও পরে গলাটিপে হত্যা করেন।

এরপর তিন বছর বয়সী ছোট শিশু মাহিন জেগে উঠলে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন এবং অপর শিশু জিহাদ জেগে উঠলে তাকেও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন আইয়ুব। তিনটি হত্যার পর ঘরের চারটি ট্রাঙ্ক খুলে টাকা খুঁজতে থাকেন। কোনো টাকা-পয়সা না পেয়ে ভোরে বাইরের দরজায় শিকল দিয়ে পালিয়ে যান। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণের জন্য মোট ১৩ জন সাক্ষী উপস্থাপন করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিশেষ বৃত্তিসহ ৪ দফা দাবি জবি শিবিরের

হাসপাতালে নচিকেতা চক্রবর্তী

জামায়াতে ইসলামী হিন্দু শাখার ৯ নেতাকর্মীর পদত্যাগ

মালয়েশিয়ায় আটক ৮৪৩, আছে বাংলাদেশিও

২০২৬ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের ম্যাচ কবে কখন

স্ত্রীর হাতে স্বর্ণের চুড়ি, সন্দেহের জেরে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে স্বামী

নতুন জোট গড়ছে ৩ দল, ঘোষণা বিকেলে

এই ৩ পানীয় খেলেই ত্বকে দ্রুত পড়বে বার্ধক্যের ছাপ

কবরস্থান থেকে ৬ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ভালো উন্নতি হয়েছে: সালাহউদ্দিন

১০

ল্যাপটপের ৫ গোপন ফিচার, যেগুলো এখনই ব্যবহার করা উচিত

১১

চকলেট রঙে আবেদনময়ী মন্দিরা

১২

আইপিএল, বিগ ব্যাশ, পিএসএল মাতানো ক্রিকেটার এবার নোয়াখালীতে

১৩

দুই পা কেটে কৃষককে হত্যা

১৪

ক্ষমা চাইলেন শাহরুখ

১৫

শাহবাগ অবরোধ ৫ কলেজের শিক্ষার্থীদের

১৬

গাজায় বাস্তবে এখনো যুদ্ধবিরতি হয়নি : কাতারের প্রধানমন্ত্রী

১৭

আগারগাঁওয়ে মোবাইল ব্যবসায়ীদের সড়ক অবরোধ

১৮

রাজনীতিতে অবৈধ আয়ের প্রভাব চাঁদাবাজিকে উৎসাহিত করে : পরিকল্পনা উপদেষ্টা

১৯

যে কারণে বহিষ্কার হলেন জামায়াত নেতা নুরুল্লাহ

২০
X