খুলনা ব্যুরো
প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০২৪, ০৯:০০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

গ্রাফিক্স : কালবেলা।
গ্রাফিক্স : কালবেলা।

খুলনায় এক তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ ও হাসপাতাল চত্বর থেকে অপহরণের অভিযোগে ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এ অভিযোগ দাখিল করা হলে বিচারক মোসা. দিলরুবা সুলতানা মামলাটি এজাহার হিসেবে নেওয়ার জন্য ডুমুরিয়া থানাকে নির্দেশ দেন।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদের চাচাতো ভাই গাজী তৌহিদুজ্জামান (রুদাঘরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান) ও তার ভাই গাজী আব্দুল হক, আল আমিন গাজী, আক্তারুল আলম (সুমন), সাদ্দাম গাজী ও মো. ইমরান হোসাইন।

মামলার আইনজীবী ও বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়কারী মোমিনুল ইসলাম বলেন, আজ সকালের দিকে আদালতে অভিযোগ দায়ের করা হয়। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিচারক ওই অভিযোগটি আমলে নিয়ে সেটি মামলার এজাহার হিসেবে নেওয়ার জন্য ডুমুরিয়া থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন। ডুমুরিয়া থানার ওসি ঘটনাটি তদন্ত করে ওই সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করবেন।

আদালতে দেওয়া অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে আসছিলেন। গত ২৭ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে এজাজ আহমেদ ওই তরুণীকে শাহপুর বাজারে অবস্থিত তার নিজস্ব কার্যালয়ে ধর্ষণ করে তাড়িয়ে দেন। পরে তরুণী ঘটনাটি তার দূরসম্পর্কের খালাতো ভাইকে জানালে সেই ভাই তরুণীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠান।

পরের দিন ওসিসির সামনে থেকে আসামি তৌহিদুজ্জামাসহ ১০-১৫ জন আসামি তরুণী ও তার মাকে জোর করে একটি মাইক্রোবাসে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ওই তরুণী ও তার মাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অপহরণ করা হয়নি মর্মে স্বীকারোক্তি দেওয়ার জন্য সোনাডাঙ্গা থানায় নেওয়া হয়। পরে আবার সেখান থেকে মাইক্রোবাসে করে তাদের অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।

অভিযোগে বলা হয়েছে, বিষয়টি খুলনাসহ সারা দেশে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করলেও সোনাডাঙ্গা ও ডুমুরিয়া থানা পুলিশ ওই তরুণী এবং তার মাকে উদ্ধারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তাদের উদ্ধারের জন্য ডুমুরিয়া থানায় মামলা করতে গেলে থানা থেকে মামলা নেওয়া হয়নি। এ কারণে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ডুমুরিয়া থানার ওসি সুকান্ত সাহা বলেন, ডুমুরিয়া থানায় ওই সংক্রান্ত কেউ কোনো অভিযোগ কখনো নিয়ে আসেননি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজধানীতে বিদ্যুতায়িত হয়ে তিন শ্রমিক মৃত্যু

প্রাথমিকে বড় নিয়োগ দিতে যাচ্ছে সরকার 

জবিতে জন্মাষ্টমী উদযাপন

শেখ মুজিবকে নিয়ে স্ট্যাটাস, ঢাবিতে তারকাদের ছবিতে জুতা নিক্ষেপ

জরুরি সভা ডেকেছে ছাত্রদল

ছাত্রদলের ৭ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ, একজনকে অব্যাহতি

স্বপ্নে নিজের মৃত্যু দেখলে কী হয়? যা বলছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

বিভিন্ন প্রকল্পে এক বছরে সাশ্রয় ৪৫ হাজার কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা

প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারদের নবম গ্রেডে উন্নীত করার দাবি 

রাশিয়ায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত ১১, আহত ১৩০

১০

বাল্কহেডে ডাকাতি, হাতে ককটেল বিস্ফোরণে ডাকাত নিহত

১১

বিশ্লেষণ / কেন আফগানিস্তানেই নজর চীন, ভারত ও পাকিস্তানের?

১২

বাংলার ইতিহাস সহাবস্থানের ইতিহাস, সম্প্রীতির ইতিহাস : নাহিদ

১৩

ধর্ষণে ১৩ বছরের কিশোরী নিহত, কিশোর গ্রেপ্তার

১৪

স্বাধীনতাকে রক্ষা করা সবার পবিত্র দায়িত্ব : বিমানবাহিনী প্রধান 

১৫

নির্বাচন ভণ্ডুল করতে পরাজিত আ.লীগ ষড়যন্ত্র করছে : গয়েশ্বর

১৬

২১০ জনকে নিয়োগ দেবে সিভিল সার্জনের কার্যালয়, এসএসসি পাসেই আবেদন

১৭

মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ যত দুর্বল হবে, বিশ্ব তত নিরাপদ হবে : আনু মুহাম্মদ

১৮

অসুস্থ হাতির চিকিৎসায় গিয়ে আহত দুই চিকিৎসক

১৯

সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে বিপুল অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার, আটক ৩

২০
X