ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জের সদর উপজেলার জাগীর সেতুর এক লেনের সংস্কারকাজ চলায় ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করছে। এ কারণে সেতুটির দুপাড়েই যানবাহন আটকে থাকছে ১৫ থেকে ২০ মিনিট। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন চালক-যাত্রীরা। রোববার (১৭ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে সরেজমিনে সেতু এলাকায় গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৩ সালে জাগীর এলাকায় ধলেশ্বরী নদীর ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এই মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ সেতু এটি। কম্পনের কারণে সেতুর বিভিন্ন অংশের সম্প্রসারণ ও সংকোচন নিশ্চিত করতে সেতুর সংযোগস্থলে কিছুটা ফাঁকা রাখা হয়। দীর্ঘদিন সেতুটি ওপর দিয়ে যান চলাচল করায় সেতুর বিভিন্ন অংশের সংযোগস্থল এক্সপানশন জয়েন্টে স্টিলের পাতগুলো বেঁকে গিয়ে ৩ থেকে ৪ ইঞ্চি পুরোপুরি ফাঁকা হয়ে গেছে।
এ ছাড়া সেতুর ওপরে যান চলাচলের সময় সেতুটি ঝাঁকুনি দেয় এবং শব্দ করে। এই সেতুটিতে মোট ১২টি এক্সপানশন জয়েন্ট রয়েছে। সেগুলো সংস্কার করা হচ্ছে। এসব জয়েন্টের ফাঁকা স্থানে স্টিলের পাত বসিয়ে সিমেন্ট ও পাথরের ঢালাইয়ের কাজ করছেন শ্রমিকরা। সেতুর এক লেনের কাজ প্রায় শেষ। এরপর অপর লেনের কাজ শুরু করবেন তারা।
গত বুধবার (১৩ মার্চ) সেতুটির এই কাজ শুরু হয়েছে। চলবে ২৩ মার্চ পর্যন্ত।
সরেজমিন দেখা গেছে, সেতুর এক পাশে যানবাহন দাঁড় করিয়ে রেখে অন্য পাশের যানবাহনগুলোকে সেতুর দক্ষিণ পাশের লেন দিয়ে চলাচল করানো হচ্ছে। এতে সেতুর দুই পাড়েই ১৫ থেকে ২০ মিনিট যানবাহন আটকে থাকছে। এ কারণে যাত্রী ও চালকরা ভোগান্তিতে পড়ছেন।
সেতুটি পার হয়ে পশ্চিম পাশে এসে নীলাচল বাসের চালক আলাউদ্দিন বলেন, ‘২০ মিনিট অপেক্ষায় থাকার পরে সেতুটি পার হতে পারলাম। তাড়াতাড়ি সেতুটির কাজ শেষ হলে এই ভোগান্তি খেকে বাঁচা যাবে।’ এ সময় আরও কয়েক জন বাসের চালকদের সাথে কথা বললে তারাও একই কথা বলেন।
কয়েক জন যাত্রীদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, রমজান মাসে সেতু সংস্কারের কাজ না করলে ভালো হতো। এই গরমে মধ্যে রোজা অবস্থায় গাড়ির ভেতরে থাকা কষ্টকর।
মানিকগঞ্জের সওজের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আবদুল কাদের জিলানী বলেন, ‘দীর্ঘদিনের পুরোনো সেতুটির এক্সপানশন জয়েন্টগুলোর ফাঁকা হওয়ায় যান চলাচলের সময় শব্দ ও ঝাঁকুনির সৃষ্টি হয়। সে কারণে যানবাহনের চাকার ক্ষতি হয়। সংস্কারকাজ চলাকালীন কিছুটা সমস্যা হতে পার। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন হবে।’
মন্তব্য করুন