কৃষি উদ্যোক্তা অমিত মণ্ডল কৃষি বিপ্লবের মাধ্যমে নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলেছেন। বরিশাল বিএম কলেজের অনার্স পড়ুয়া অমিত মণ্ডল পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার চিড়াপাড়া পারসাতুরিয়া ইউনিয়নের বেকুটিয়া গ্রামের অমল কৃষ্ণ মণ্ডলের ছেলে।
অমিত তার বাবার পতিত অনাবাদি জমিতে আবাদ করে পরিবারের ভাগ্য পরিবর্তনের সাথে সাথে নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলেছেন। তিনি এখন প্রতিমাসে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা উপার্জন করছেন।
অমিত লেখা পড়ার পাশাপাশি কাউখালী উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে এবছর ১০ শতাংশ জমিতে ৪ হাজার টাকা খরচ করে করলা ও ৪০ শতাংশ জমিতে ৭০ হাজার টাকা খরচ করে শসার চাষ করেছেন। এ পর্যন্ত করলা ও শসা বিক্রি করে ৯০ হাজার টাকা আয় করেছে। এ কৃষি থেকে গ্রীষ্মকাল পর্যন্ত করলা ও শসা বিক্রি করে আরও দিগুণ টাকা উপার্জন করতে পারবে বলে অমিত মণ্ডল আশা করছে।
তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা অমৃত মণ্ডল বলেন, কৃষি অফিসের সহয়তায় করলা ও শসা ছাড়াও সারা বছরই লাউ, ঢেঁড়স, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করি। এ থেকে যা আয় হয় তা থেকে নিজের লেখাপড়ার খরচের পাশাপাশি নিজেদের সংসারে খরচের টাকার জোগান দিতে পারছি।
বেকুটিয়ার স্থানীয় বাসিন্দা আক্তারুজ্জামন সোহাগ খান বলেন, অমিত লেখাপড়ার পাশাপাশি সুন্দর উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি নিজেকে কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে এলাকায় প্রতিষ্ঠিত করছেন। অমিতের মতো যদি প্রতিটি বেকার যুবক অনাবাদী জমিতে কৃষি কাজ করেন তাহলে দেশের বেকারত্ব দূর হতো।
কাউখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সোমা রানি দাস বলেন, আমরা কৃষি অফিস থেকে অমিতের কৃষিকাজের সার্বক্ষণিক তদারকি করে থাকি। অফিস থেকে ভালো জাতের বীজ, সারও দিয়েছি। প্রত্যেকটি ব্লকে আমাদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক এ ধরনের কৃষি উদ্যোক্তাদের পাশে থেকে পরামর্শ দিয়ে থাকে। এ ছাড়া এদের সরকারি বিভিন্ন প্রণোদনা দেওয়া হয়।
কাউখালী ইউএনও সজল মোল্লা বলেন, আমি অমিত মণ্ডলের কৃষি খামার সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। অনেক সুন্দর করে অমিত মণ্ডল বিভিন্ন ধরনের কৃষি উৎপাদন করেছে। যা দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। অমিতের যদি আমার কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন হয় আমি তা করব।
মন্তব্য করুন