ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পরকীয়া প্রেমিকাকে হত্যার দায়ে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার (২৪ মার্চ) দুপুর ২টায় ফরিদপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শিহাবুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
দণ্ডপ্রাপ্ত ওবায়দুর মোল্লা (৩২) জেলার বোয়ালমারী উপজেলার পশ্চিম ভাটদী এলাকার ওয়াহেদ মোল্লার ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালে জেলার বোয়ালমারী উপজেলার পশ্চিম ভাটদী গ্রামের মৃত কাদের মোল্লার ছেলে আফসার মোল্লার সঙ্গে পাশের মধুখালী উপজেলার গন্ধখালী গ্রামের জলিল মুন্সীর মেয়ে মনিরা বেগমের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ১১ ও ৮ বছরের দুটি সন্তান ছিল।
জীবিকার তাগিদে মনিরা বেগমের স্বামী আফসার মোল্লা সৌদিতে চলে যান। স্বামী প্রবাসে থাকায় স্ত্রী মনিরার সঙ্গে প্রতিবেশী ওবায়দুরের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মনিরা বেগম ওবায়দুরকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে।
গত ২০১৯ সালের ১০ মার্চ রাতে মনিরাকে স্বামীর বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে। পরে মরদেহ ওই গ্রামের গমক্ষেতের মধ্যে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ওবায়দুর। ঘটনার ৪ দিন পর মনিরার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত মনিরার ভাই রবিউল ইসলাম বাদি হয়ে প্রথমে নিখোঁজ জিডি ও মরদেহ উদ্ধারের পর ওবায়দুরসহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে বোয়ালমারী থানায় হত্যা মামলা করেন।
বোয়ালমালী থানার এসআই আমিনুর রহমান মামলাটি তদন্ত করেন। হত্যাকাণ্ডে পরকীয়া প্রেমিক ওবায়দুর মোল্লার জড়িত থাকার প্রমাণ পান। এতে গত ২০১৯ সালে ১৭ মার্চ তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেন।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের এপিপি মো. সানোয়ার হোসেন জানান, অভিযুক্ত ওবায়দুর মোল্লা আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে মনিরা বেগমকে হত্যার দায় স্বীকার করেন। এ ছাড়া দীর্ঘ সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আজ আদালতের বিচারক শিহাবুল ইসলাম দণ্ডবিধি ৩০২ ধারায় আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি ওবায়দুর মোল্লা আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন