মুন্সীগঞ্জের মেঘনা নদীর তীরে সুপার ফর্মিকা অ্যান্ড লমিনেশন (সুপারবোর্ড) কারখানার গোডাউনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের দীর্ঘ চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
সোমবার (২৫ মার্চ) রাতে ফায়ার সার্ভিস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। শেষ খবার পাওয়া পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট।
এর আগে দুপুর ১টার দিকে জেলার গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের সিকিরগাঁও এলাকার কারখানায় এ আগুন লাগে।
জানা গেছে, কারখানাটি ফ্লাইবোর্ড দিয়ে বিভিন্ন আসবাবপত্র তৈরি করে ওই গোডাউন রাখে। দুপুরের দিকে আগুন লাগলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে গোডাউনে। এতে নদীর তীরে নোঙ্গর করে রাখা পাটখড়ির ট্রলারেও আগুন লেগে যায়। এ ঘটনায় সাতজন আহত হন। আগুন নিয়ন্ত্রণে রিমোট কন্ট্রোল ফায়ার ফাইটিং রোবট এবং স্টেন্ডার মেশিনে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক মো. ছালেহ্ বলেন, আমরা ১টা ১১ মিনিটে খবর পাই। পরে গজারিয়া এবং আদমজী ফায়ার স্টেশন আগুন নিয়ন্ত্রণে ছুটে আসে। আগুন ভয়াবহতা দেখে পর্যায়ক্রমে সোনারগাঁ, বন্দর, সিদ্দিকবাজার, ডেমরাসহ বিভিন্ন স্টেশন থেকে ১২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কাজ করে।
কোম্পানির কর্মচারী মো. জসিম বলেন, দুপুর ১টার সময় আগুন লাগে। আগুনটা যেন অন্য গোডাউন বা অন্য কোনো শিফটে ছড়াতে না পারে সেটার জন্যও চেষ্টা করেছি। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে কাজ শুরু করে।
আরেক কর্মচারী মো. ইমন বলেন, সাইরেনের শব্দ শুনে দেখি আগুন জ্বলছে। প্রথমে আমরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে পারিনি।
সুপারবোর্ড কোম্পানির পরিচালক শফিউল আতাহার তাসলিম কালবেলাকে বলেন, কী কারণে আগুন লেগেছে এখনো জানি না। আমাদের আগুন নির্বাপণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। নিজস্ব ম্যান পাওয়ারও আছে। ম্যান পাওয়ার দিয়ে প্রথমে চেষ্টা করেছি যেন ক্ষতিটা বেশি না হয়। এ ছাড়া আমাদের ৩৫টি পানির লাইন দিয়ে কাজ করেছি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা সম্ভব হয়নি।
গজারিয়া থানার ওসি মো. রাজিব খান বলেন, দুপুর ১টার দিকে আগুন লাগার খবর পাই। আগুন নিয়ন্ত্রণে ঢাকা জেলা, নারায়ণগঞ্জ জেলা এবং গজারিয়ার ফায়ার স্টেশন মিলে মোট ১২টি ইউনিট কাজ করেছে। তবে কী কারণে আগুন লেগেছে সেটি এখনো জানা যায়নি। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন।
মুন্সীগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাসুদুর রহমানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এই কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন