ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের ভাগ্নে ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কর্মরত টিপু সুলতানকে মারধরের ঘটনায় কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলমসহ ১৩ জনের নামে মামলা দায়ের হয়েছে।
সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের ছোট বোন রিজিয়া বেগম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। পুলিশ এজাহার নামীয় তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- কালীগঞ্জ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুবেল হোসেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুর রউফ, পৌর মেয়রের ছোট ভাই সোহান বাবু, মেয়রের ভাগ্নে সবুজ হোসেন, ইরফান রাজা রুকু, জাবেদ হোসেন জুয়েল, মুরাদ জোয়ার্দার বাবলু, শিহাব হোসেন, সুমন হোসেন, সাগর হোসেন, কামরান হোসেন ও উজ্জল দাস। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে।
মামলার এজাহারে বাদী রিজিয়া বেগম উল্লেখ করেছেন, শুক্রবার দুপুরে জুম্মার নামাজ আদায় করে কালীগঞ্জ শহরের চায়না বেডিং অ্যান্ড কটন শপে পাপস কিনতে যান টিপু। সামনে জায়গা না থাকায় রাস্তার এক পাশে মোটরসাইকেল রেখে দোকানে প্রবেশ করেন। এ সময় পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম ঘটনাস্থলে গিয়ে এই মোটরসাইকেল কার জানতে চান। তখন টিপু দোকান থেকে বেরিয়ে এসে বলেন মোটরসাইকেলটি আমার। এরপর মেয়র অকথ্য ভাষায় গালিগালজ করতে থাকেন। টিপু প্রতিবাদ করলে মেয়র ও তার সঙ্গে থাকা ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুবেল হোসেন তাকে মারধর শুরু করেন। পরে সেখানে মেয়রের ভাই-ভাগ্নেসহ উক্ত আসামিরা উপস্থিত হয়ে পিটিয়ে তার পা ভেঙ্গে দেন। এ বিষয়ে জানতে পৌর মেয়র আশরাফুল আলম জানান, তিনি যানজট নিরসনে রাস্তায় কাজ করছিলেন। রাস্তার ওপর টিপু সুলতানের মোটরসাইকেল রাখা ছিল। সরাতে বললে তিনিই প্রথমে দুর্ব্যবহার করেন এবং মাথার হেলমেট দিয়ে মারধর করেন।
কালীগঞ্জ থানার ওসি আবু আজিফ জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ পৌর মেয়রের ছোট ভাই সোহান বাবু, শিহাব ও কামরাণ নামে তিনজনেক গ্রেপ্তার করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
মন্তব্য করুন