ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুরের ধেরুয়া এলাকায় ছিনতাইকালে দুই পুলিশ কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৫ মার্চ) তাদের আদালতে পাঠালে বিচারক তাদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে মির্জাপুর থানার ওসি মো. রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া দুই কনস্টেবল মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানায় কর্মরত। তাদের একজন টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার মিরিকপুর গ্রামের কৈলা রাজবংশীর ছেলে রিপন রাজবংশী (২৮) ও সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের ময়নাল হকের ছেলে মো. মহসিন মিয়া (৩১)।
বাসাইল উপজেলার বাসাইল সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো.সোহানুর রহমান সোহান দৈনিক কালবেলাকে বলেন, রিপন আমার গ্রামের খুব কাছের ছেলে। তিনি খুবই ভদ্র ও রাজবংশীর ছেলে, তার মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুলিশে চাকরি হয়েছে। আমার জানা মতে, তিনি পুলিশের চাকরি করে একটি টাকাও ঘুষ খায়নি। তাহলে এটা কীভাবে হতে পারে আমার বোধগম্য হয় না। তবে বিষয়টি আইনশৃঙ্খলার প্রতি অনুরোধ রইল তারা যেন সঠিক তদন্ত করে আসল রহস্য উদঘাটন করেন।
এ ঘটনার পর মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান তাদের সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
পুলিশ জানায়, রোববার রাত পৌনে ১০টার দিকে মধুপুরের মমিনপুর গ্রামের পিকআপ চালক মো. রানা মিয়া ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলের দিকে আসছিলেন। মহাসড়কের ধেরুয়া এলাকায় পুলিশের পোশাক পরে রিপন রাজবংশী ও মহসিন মিয়া গাড়ি থামিয়ে চালকদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছিলেন। একপর্যায়ে রানা মিয়াকে সিগনাল দিলে সে সামনের দিকে এগোতে থাকে। একপর্যায়ে তারা মোটরসাইকেল নিয়ে রানা মিয়ার গাড়ি থামায়। রানার কাছে জাল টাকা আছে বলে দাবি করেন। পরে রানার কাছে থাকা সাড়ে ১১ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। রানার চিৎকারে স্থানীয়রা দেওহাটা পুলিশ ফাঁড়িকে অবগত করে। পরে পুলিশ গিয়ে রিপন ও মহসিনকে আটক করে।
জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে রিপন ও মহসিন পুলিশ সদস্য হিসেবে পরিচয় দেন। তাদের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা, পুলিশের ইউনিফর্ম, একটি হ্যান্ডকাপ ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
পরে পিকআপ চালক রানা বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে সোমবার তাদের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়। মির্জাপুর বঙ্গবন্ধু সেতু আমলী আদালতের বিচারক মনিরুল ইসলাম তাদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মির্জাপুর থানার ওসি মো. রেজাউল করিম জানান, তাদের দুই দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবদ করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন