ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে স্বাধীনতা দিবস পালনের নামে রসিদ দিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা তোলার অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) উপপ্রশাসনিক কর্মকর্তা (সিএ) সুজন পাল ও অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক নিতাই কুমার সাহাকে বদলি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এ আদেশ দেওয়া হয়। নিতাই কুমার সাহাকে ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় ও সিএ সুজন পালকে আলফাডাঙ্গা উপজেলায় বদলি করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই দুজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ওই নোটিশে বলা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে বিষয়ে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার কালবেলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বদলির পাশাপাশি দুই সিএকে শোকজ করা হয়েছে। তিনি তাদের বক্তব্য আগে শুনবেন। এরপর চাঁদার টাকা কোথায় ব্যবহার করা হয়েছে, সে বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের চিন্তা রয়েছে।
উল্লেখ্য, সুজন পাল ও নিতাই কুমার সাহা স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের নামে রসিদ দিয়ে সম্প্রতি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা তুলছিলেন। ১৮ ও ১৯ মার্চ বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছে দেওয়া এ-জাতীয় কয়েকটি টাকা গ্রহণের রসিদে দেখা যায়, ‘২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন হিসেবে অনুদান’ লিখে সিল দেওয়া হয়েছে। সিলে লেখা ‘উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, চরভদ্রাসন’। রসিদগুলোতে বিভিন্ন অঙ্কের পরিমাণ লেখা রয়েছে।
ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, তাদেরকে জিম্মি করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে দুই সিএ রসিদ দিয়ে তাদের ইচ্ছেমতো চাঁদা দাবি করেন। তারা রসিদে লিখার চেয়ে কম টাকা দিতে গেলে ইউএনও ও এসিল্যান্ডকে দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করা হবে বলে হুমকি প্রদান করেন।
এ বিষয়ে চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ ফয়সল বিন করিম কালবেলাকে বলেন, রসিদ দিয়ে টাকা তোলার বিষয়টি সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না এবং কোনো সিএ কে এই বিষয়ে পরামর্শ দেয়নি।
এ নিয়ে গত বুধবার কালবেলা পত্রিকা ও অনলাইনে ‘চরভদ্রাসনে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ইউএনওর সিএর চাঁদা আদায়’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
মন্তব্য করুন