নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চরবজলুল করিম গ্রামের হাতেম শিক্ষা স্বাস্থ্য ও সাহায্য ট্রাস্টের মালিকানাধীন কৃষি জমি নষ্ট করে অবাধে চলছে মাটি কেটে প্রজেক্ট তৈরি ও মাটি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ২-৩ একর ভূমির অবাধে মাটি কেটে প্রজেক্ট তৈরি করছে প্রতিপক্ষরা। এ বিষয়ে হাতেম শিক্ষা স্বাস্থ্য ও সাহায্য ট্রাস্টের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে নোয়াখালী পুলিশ সুপার বরাবর অভিযুক্ত আবুল হোসেন, আবুল কাশেমসহ আটজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গত ২০ মার্চ একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হাতেম আলী ১৯৮৫ সালের মে মাসে চট্টগ্রাম জেলা রেজিস্টারের কার্যালয়ে ট্রাস্ট দলিল সম্পাদন করে তপশিল সম্পত্তি হাতেম শিক্ষা স্বাস্থ্য ও সাহায্য ট্রাস্টকে উৎসর্গ করে নিঃস্বত্ববান হন। জীবদ্দশায় তিনি নিজেই ট্রাস্টের দায়িত্ব পালন করেন। তার মৃত্যুর পর দলিলে শর্তে ট্রাস্টের সদস্যরা তা পরিচালনা করে আসছেন। মাহফুজুর রহমান বর্তমানে ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে, হাতেম আলীর মৃত্যুর পর কিছু লোক দানপত্রমূলে মালিকানা দাবি করে ওই ট্রাস্টের সম্পত্তি জবরদখল করার চেষ্টা করছেন। ওই বিষয়ে নোয়াখালী যুগ্মজেলা জজ ১ম আদালতে দেওয়ানি নম্বর মামলা চলমান রয়েছে। মহামান্য হাইকোর্ট স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। এতে সুবর্ণচর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সরজমিনে তদন্ত পূর্বক তপশিল ভূমি ট্রাস্টের দখলে আছে মর্মে প্রতিবেদন দেন।
আদালত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিলেও চর জব্বর পুলিশ এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন হাতেম আলী ট্রাস্টের সদস্যরা। এ দিকে কৃষি জমি নষ্ট করে অবাধে মাটি কাটার বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য প্রতিপক্ষ আবুল হোসেন গংদের পাওয়া যায়নি।
জেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল হক জানান, কেউ কৃষি জমি নষ্ট করে মাটি কাটলে বা প্রজেক্ট করলে এটা বড় অপরাধ। এদের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যবস্থা নেবেন।
সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল আমিন সরকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি এবং থানা পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়া জন্য নির্দেশ দিয়েছি। এতে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। পুলিশ ইতোমধ্যে একজনকে আটক করেছে।
তবে চরজব্বর থানার ওসি বিষয়টি জানেন না বলে তিনি জানান।
মন্তব্য করুন