প্রতিবছরই রমজানের শুরুতে দেশের নানা প্রান্তের পোশাক ব্যবসায়ীরা চট্টগ্রামের জিইসি কনভেনশন হলে আয়োজিত ঈদবস্ত্র মেলায় অংশগ্রহণ করে থাকেন। ঈদের কেনাকাটায় নগরবাসী লুফে নেন দেশের বিভিন্ন স্থানের জনপ্রিয় পোশাক ও নানা পণ্য। তবে এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও জমে ওঠেনি এবারের মেলা। দর্শনার্থী শূন্য এ মেলায় অলস সময় কাটাচ্ছেন বিক্রেতারা।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রাম জিইসি কনভেনশন হল চত্বরে ‘ঈদবস্ত্র জামদানি ও ক্ষুদ্র শিল্পমেলার’ উদ্বোধন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) মেলায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা পোশাক ও আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্রের পসরা সাজিয়ে দোকানে বসে আছেন। তারা এসেছেন ঢাকা, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, কুয়াকাটাসহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে। তবে এত আয়োজন করেও তারা পুষিয়ে উঠতে পারছে না। এবারের মেলায় ক্রেতার সংখ্যা নিতান্তই কম।
নারায়াণগঞ্জ থেকে আসা জামদানি শিল্প প্রতিষ্ঠান তিশা জামদানির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিক্রেতা বলেন, ‘অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর কাস্টমার কম। বাণিজ্য মেলা গেল কদিন আগে। এ ছাড়া মাসের শেষ, সবাই বেতন পায়নি। সবকিছু মিলিয়ে কাস্টমার এবার কম। সব আইটেমই স্লো বিক্রি হচ্ছে। কেনাকাটা এখনো শুরুই হয়নি।’
এম এস ফ্যাশনের বিক্রেতা পারভেজ বলেন, ‘ব্যবসার অবস্থা খুবই খারাপ। কাস্টমার নেই। গত বছর যা বিক্রি হয়েছিল প্রফিট পেয়েছি। এবার তাও নেই।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকায়া ফ্যাশনের এক বিক্রেতা বলেন, ‘বিকেলের দিকে দর্শনার্থী বাড়লেও বেচাবিক্রি হচ্ছে না। তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে আশানুরূপ বেচাবিক্রি হচ্ছে। এ কারণে কিছুটা আশাহত।
তবে মেলার শেষ দিকে বেচাবিক্রি বাড়ার আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের মতে, এপ্রিলের ৮ তারিখের পর কিংবা ১০ তারিখ কেনাকাটা হতে পারে।
মন্তব্য করুন