প্রাচীন প্রথা হিসেবে পহেলা বৈশাখকে ঘিরে পান্তার সঙ্গে ইলিশ খাওয়ার প্রচলন থাকলেও এবার চাঁদপুরে পান্তা থাকলেও ইলিশের বদলে সবাই রুই, কাতলা ও চিংড়ি খাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) চাঁদপুরের ইলিশ বিক্রির হাট বাজারগুলোতে গেলে বিক্রেতারা এসব তথ্য জানান।
জানা যায়, এবার মার্চ-এপ্রিল দুই মাস চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে অভয়াশ্রমে ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা চলছে। একইসঙ্গে এ সময় ইলিশ মজুদ, পরিবহন, বিক্রির ওপরও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই এই নিষেধাজ্ঞাকে সম্মান জানিয়ে এবং ইলিশ সম্পদ উন্নয়নের কথা ভেবে জেলাবাসী পহেলা বৈশাখে পান্তার সঙ্গে ইলিশ না খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বিপুনীবাগ, বাবুরহাট, পালেরবাজার, বড়স্টেশন মাছঘাটসহ বিভিন্ন বাজরের ব্যবসায়ীগণ বলছেন, এবার ইলিশের ওপর নিষেধাজ্ঞা চলায় চাহিদা বেড়েছে রুই, কাতলা ও চিংড়ি মাছের। দামও সাধ্যের মধ্যে থাকায় দেশীয় প্রজাতির এই মাছগুলোর বেচাবিক্রিও চলছে ভালোই। সবাই সাধ্যমতো মাছ কিনছে।
ক্রেতারা জানান, ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর- এই বাক্যটি যাতে ঠিক থাকে সবসময় সেই চিন্তা মাথায় রেখেই পহেলা বৈশাখে পান্তার সঙ্গে ইলিশ না খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এমনকি আমরা আগে থেকে ইলিশ কিনে ফ্রিজে মজুদ করে রাখিনি। ইলিশ আমাদের জেলার একটি সম্মান। তাই এই সম্মানকে টিকিয়ে রাখতে আমরা পান্তার সঙ্গে ইলিশের বদলে দেশীয় প্রজাতির মাছ কিনে নিচ্ছি।
এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, নদীসহ হাটবাজারে ইলিশ ধরাসহ বেচাবিক্রির সার্বিক বিষয়েই আমরা তদারকি করছি। পহেলা বৈশাখে মানুষ পান্তার সঙ্গে এবার ইলিশ না খেয়ে দেশীয় প্রজাতির মাছ খাওয়ার সিদ্ধান্তকে আমি মনে করি ইলিশ সম্পদকে ভালোবাসা প্রদর্শন করা।
মন্তব্য করুন